প্রথম ধাপের করোনাভাইরাসের পর আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমলেও সম্প্রতি আবার তা বেড়েছে। করোনাভাইরাসের মধ্যে নগদ টাকার ব্যবহার এড়াতে কার্ডভিত্তিক লেনদেনকেই বেছে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। এর ফলে অক্টোবরে বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাংকের কার্ডভিত্তিক লেনদেন। এর মধ্যে রয়েছে ক্রেডিড ও ডেবিডসহ বিভিন্ন ধরনের কার্ড।
Advertisement
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে কার্ডভিত্তিক লেনদেন হয়েছে ১৮ হাজার ৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৬৬১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
একইসঙ্গে অক্টোবর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনেদেনের পরিমাণও বেড়েছে। অক্টোবরে মোবাইল ব্যাংকিং-এ ৫৩ হাজার ২৫৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে হয়েছিল ৪৯ হাজার ১২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে সেপ্টেম্বরের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
গত অক্টোবর মাসে অটোমেটেড টেলার মেশিনে (এটিএম) এক কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩২ বার লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ছিল ১৫ হাজার ৩২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যা তার আগের মাসের তুলনায় এক হাজার ৮২ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি। আগের মাস সেপ্টেম্বরে এটিএমে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ২৪৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
Advertisement
পয়েন্ট অব সেলে (পিওএস) ২৯ লাখ ৭ হাজার ৬৯১ বার লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ছিল এক হাজার ৪৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা আগের মাসের তুলনায় ১০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি। আগের মাস সেপ্টেম্বরে লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৩৪৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্টে (সিআরএম) ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৮ বারে ৮৮৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা তার আগের মাসের তুলনায় ২০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা বেশি। আগের মাস সেপ্টেম্বরে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এছাড়া অক্টোবর মাসে ই-কমার্স ট্রানজেকশনে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬৯ বারে লেনদেন হয়েছে ৫৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা তার আগের মাসের তুলনায় ১৩৭ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি। তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে ই-কমার্স ট্রানজেকশন হয়েছিল ৪০৬ কোটি টাকা।
অর্থাৎ অক্টোবরে এটিএম, পিওএস, সিআরএম ও ই-কমার্স মিলে মোট ১৮ হাজার ৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা তার আগের মাসে সেপ্টেম্বরের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি। গত সেপ্টেম্বরে এটিএম, পিওএস, সিআরএম ও ই-কমার্সে লেনদেন হয়েছিল ১৬ হাজার ৭০৩ কোটি টাকার। আর চলতি বছরের আগস্টে এ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার কোটি টাকার ঘরে।
Advertisement
ইএআর/এআরএ/এমকেএইচ