রাজনীতি

সরকার গায়ের জোরে ইতিহাস পাল্টে দিতে চায়: মোশাররফ

সরকার গায়ের জোরে ইতিহাস পাল্টে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

Advertisement

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবসের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

মোশাররফ বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেসব ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি ও আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া সেসব ক্ষেত্রে সফল। এজন্যই আজকে এই গায়ের জোরের সরকার ইতিহাসকে পাল্টে দিতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাসকে পাল্টে দিতে চায় কারণ তারা জানেন বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস জানলে সেখানে আওয়ামী লীগ লজ্জা ছাড়া কিছু পাবে না।আওয়ামী লীগের কোনো বক্তব্য থাকবে না। তাই তারা (আওয়ামী লীগ) জোর করে আজকে ইতিহাসের পাতা থেকে সত্যকে মিথ্যা দিয়ে, ন্যায়কে অন্যায় দিয়ে ঢেকে দিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করছে।’

Advertisement

এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে ‘অবশ্যই বিএনপিকেই দায়িত্ব নিতে হবে’ উল্লেখ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস,আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ থাকায় ভার্চুয়াল আলোচনায় যুক্ত থেকে আলোচকদের বক্তব্য শুনেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সভায় মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নাই, যেটুকু আছে গণতন্ত্রের লেবাসে একটা কর্তৃত্বাবাদী স্বৈরতন্ত্র দেশে চালু আছে। এজন্য আজকে তিনটি এজেন্ডা আমাদের সামনে এসে পড়েছে। একটা সংগঠন, আরেকটা হলো আন্দোলন এবং নির্বাচন। সংগঠনের কাজ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করছেন। আমরা চেষ্টা করছি সকলে তার সঙ্গে সহযোগিতা করে তার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য।’

Advertisement

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। একটা কথা বলি, আওয়ামী লীগ স্বাধীন দেশে ফেরত এসে স্বাধীনতার গল্প শুনেছে এদেশ কীভাবে স্বাধীন হয়েছে, কারা স্বাধীন করেছে, কে স্বাধীন করেছে, সেই গল্প তারা শুনেছে।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে মোছামুছির এই সন্ধিক্ষণে একদিকে মোছা, একদিকে গড়া। একদিকে গড়লে পাহারা দিতে হয়। কারণ, কী ভাঙা যায় তার ছবি বানায় দেয় এই মামলাও আমাদের বিরুদ্ধে কম না।’

কেএইচ/এসএস/জেআইএম