জাতীয়

দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর নগর ভবন

আজ মহান বিজয় দিবস। পরাধীনতার শিকল ভেঙে মুক্তিকামী বাঙালি এই দিনে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছিল চূড়ান্ত বিজয়। প্রতিবছর দিনটিকে আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করে দেশবাসী। এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিজয়ের আনন্দে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। সাধারণ মানুষ আনন্দঘন পরিবেশে দিবসটি উদযাপন করছেন।

Advertisement

বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) লাল-সবুজ বাতিতে জাতীয় পতাকার আদলে সেজেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন। নান্দনিক রূপে সাজানো হয়েছে পুরো নগর ভবনকে। আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

বিজয় দিবসে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে নগর ভবন। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ভবনটি।

নগর ভবনে কর্মরত আনসার সদস্যরা জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে নগর ভবনকে বর্ণিল রূপে সাজিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে মানুষ ভেতরে যাচ্ছে। কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। তারা ঘুরে দেখছেন, ছবি তুলছেন।

Advertisement

নগর ভবন ঘুরে দেখা গেছে, সুসজ্জিত ভবনে প্রবেশের পর সবাই মাঠের সুন্দর রঙিন দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করছেন। কেউ কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে ছবি তুলছেন। ভীড় ছিল নগর ভবনের পানির ফোয়ারার সামনেও। অনেকে আবার ভবনের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর ছবির সঙ্গে সেলফি তুলছেন।

সুমনা মাহবুব পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন নগর ভবনে। জাগো নিউজের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ মহান বিজয় দিবসে মা আর মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। সন্তানকে জানাচ্ছি বিজয়ের ইতিহাস। এতে আমার সন্তান আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। নগর ভবন খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে, সবার জন্য উন্মুক্ত তাই ঘুরতে আসলাম। বেশ ভালো লাগছে।’

এদিকে নগর ভবনের আলোর ঝলকানি ও সুন্দর পরিবেশে পরিবার ঘুরতে আসছেন এখানে কর্মরতরাও। নিজের কর্মস্থলের এমন রঙিন আবহ পরিবার নিয়ে উপভোগ করছেন তারা।

নগর ভবনে কর্মরত সুমন মিয়া জানান, ‘সারাবছর তো এখানেই কাজের জন্য থাকি। আজ পরিবার নিয়ে আসলাম, তাদের ঘুরে দেখালাম নিজের কাজের জায়গা। আর এতো সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে দেখতেই ভালো লাগছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেক ছবি তুললাম।’

Advertisement

এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিএসসিসিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আইএইচআর/এসএস/এমএস