পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, অনেক ইসলামি রাষ্ট্র আছে যেখানে ভাস্কর্য আছে। আমাদের দেশে জিয়াউর রহমানেরও ভাস্কর্য আছে। কিন্তু এটা তাদের কাছে ভাস্কর্য নয়। এটায় ইসলাম যায় না, আর বঙ্গবন্ধুর নাম শুনলে ধর্ম চলে যায়। এদেরকে সাবধান করে দিতে চাই, ধর্মের কথা বলে দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এ ষড়যন্ত্রকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সকলকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে স্বাধীনতা নিয়ে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে।’
Advertisement
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী তিনি এসব কথা বলেন। বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধীরা নতুন করে আরেকটি জিনিস শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নাকি মূর্তি হয়ে গেছে। এরাই এমন কথা বলত বঙ্গবন্ধুর ছবি টাকাতে দেয়া হয়েছে, এটা থাকলে নামাজ হবে না। তবে কায়দে আজমের ছবি দিয়ে, তখন টাকা ছিল পাকিস্তান আমলের এখানে সালাম জানাত। চুমু খাইত। এরাই হচ্ছে রাজাকার-আলবদর। এরা দেশ ও জাতির দুশমন। এরা একই মুখে দুরকম কথা বলে। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হরিদাস কুমার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, পৌরসভা মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ একেএম হেলাল উদ্দিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস নান্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ এবং বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এপিপি গোপাল দত্ত প্রমুখ ।
Advertisement
এর আগে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মন্ত্রী। এদিন সকালে বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের সূচনা হয়। এরপর শহিদদের স্মরণে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন, বড়লেখা থানা পুলিশ, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম, আওয়ামী লীগ, বড়লেখা পৌরসভা, বড়লেখা প্রেসক্লাব, পল্লীবিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
এমইউ/এসএস/এমএস