৫৫ বছর পর বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি নতুন রেল করিডোর চিলাহাটি-হলদিবাড়ী লাইন চালু হচ্ছে।
Advertisement
বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ রুট উদ্বোধন করবেন। এজন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেল লিঙ্কটি বন্ধ হওয়ায় দুই দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী রেলওয়ে সেবা থেকে বঞ্চিত হয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ে।
Advertisement
বর্তমান সরকার আন্তঃআঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট সাতটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে চারটিতে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চম ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট হিসেবে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল সংযোগটি সংযোজিত হচ্ছে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এ প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। প্রকল্পের বিদ্যমান চুক্তির আওতায় ৬ দশমিম ৭২৪ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ (মেইন লাইন) ও ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় রয়েছে সাতটি মাইনর ব্রিজ নির্মাণ, দুটি লেভেল ক্রসিং গেট, কালার লাইট সিগন্যালিংসহ টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম প্রবর্তন ও একটি স্টেশন নির্মাণ।
এই রেলপথটি চালু হলে বাংলাদেশের মোংলা পোর্ট এবং উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ, নেপাল এবং ভূটানের মধ্যে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো মানোন্নয়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম জোরদার হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, রেলপথটি চালু হলে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ট্রেন চলাচল সম্ভব হবে। ফলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেলের অবদান বৃদ্ধি পাবে। কন্টেইনার ট্রেন পরিচালনা শুরু করা যাবে। এর ফলে রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশি পর্যটকরা দার্জিলিংসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে দ্রুত ও সহজে ভ্রমণ করতে পারবেন।
Advertisement
আরএমএম/এমআরআর/জেআইএম