১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, পতাকা বিক্রেতাদের অত্যন্ত কাঙ্খিত একটি দিন। বেচাকেনার ধুম লেগে থাকে সারাদিন। কিন্তু এবার বিজয় দিবসে তাদের মন খারাপ।
Advertisement
পতাকা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার বেচাকেনা নেই বললেই চলে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, মানুষ কম বাইরে বের হাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
১০ বছর ধরে পতাকা বিক্রি করেন আব্দুল কাদের। গুলিস্তান এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার পতাকা বিক্রি করি। আজকে দুপুর পর্যন্ত ১ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারি নাই।’
আব্দুল কাদের বলেন, ‘স্কুল-কলেজ বন্ধ, করোনার কারণে মানুষ বাইরে বের হয় না, পতাকা বিক্রি করবো কার কাছে।’
Advertisement
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে পতাকা, ব্যান্ড, মাস্ক বিক্রি করছিলেন মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘এবার পতাকার বেচাবিক্রি খুবই খারাপ। মাস্ক কিছুটা চলছে। মানুষ বাইরে বাইরে বের না হলে তো বিক্রি করতে পারবো না।’
গুলিস্তানে আরেক পতাকা বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এবার বেচাবিক্রির কথা বলে লাভ নাই ভাই। বহুদিন ধরে ব্যবসা করছি, ব্যবসার ইতিহাসে ১৬ ডিসেম্বর এত কম বেচাবিক্রি আর কোনো সময় হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আমি বিক্রি করেছি। এবার ৭-৮ হাজার টাকার বেশি হবে বলে মনে হয় না। আসলে মানুষের আনাগোনা নাই, করোনার কারণে মানুষ বাইরে আসে নাই।’
দোকানিরা জানিয়েছেন, ১০ টাকার কাঠি পতাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা প্রাণের পতাকা বিক্রি করেন তারা। একইসঙ্গে বিজয় দিবস লেখা ও বাংলাদেশের পতাকার আদলে তৈরি মাথা ও হাতের ব্যান্ডও বিক্রি করেন তারা। মাথা ও হাতের ব্যান্ডের দাম ১০ টাকা।
Advertisement
কাগজের পতাকাও বিক্রি করেন তারা। কাগজের ১০০ পতাকার দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা।
এবার বিজয় দিবস লেখা ও বাংলাদেশ পতাকার আদলে তৈরি মাস্ক বিক্রি করতে দেখা গেছে। কাপড়ের তৈরি এসব মাস্কের প্রতিটির দাম রাখা হচ্ছে ২০ টাকা।
আরএমএম/ইএ/এমএস