শিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কি বাড়বে?

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ ভাইরাসের সংক্রমণ কমে গেলে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজের ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও এক মাস বাড়তে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

Advertisement

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) শিক্ষা উপমন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ প্রস্তুতি চলছে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন করে ছুটি বাড়ানো হবে নাকি খোলা হবে, সে বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে নতুন করে আরও ছুটি বাড়ানো হতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলে দেয়া হবে। ১৯ ডিসেম্বরের আগে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান উপমন্ত্রী।

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর ছুটি বাড়ানো হয় কয়েক দফা। সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে এর আগে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সিলেবাস শেষ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিন্তাভাবনা করলেও সেখান থেকে পিছিয়ে এসেছে।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা-ভাবনা থাকলেও করোনা সংক্রমণ নতুনভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এখন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় নতুন করে আরও এক মাস ছুটি বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে।

তিনি বলেন, ১৭-১৮ ডিসেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে। এ ছুটির মধ্যে আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে। তবে এবার কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আয়োজন করা হবে না। শিক্ষার্থীদের স্কুলে এসে পাঠ্যবই নিতে বলা হবে।

এমএইচএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

Advertisement