বৃষ্টিনির্ভর আমনের আবাদ। ইরি-বোরো আবাদের চেয়ে অনেকটাই কম খরচে হয়ে থাকে আমন। জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা পোরশা দেশের বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত। পানির স্তর অনেক নিচে থাকায় এলাকার জমিগুলো অনাবাদি পড়ে থাকে।
Advertisement
তবে বৃষ্টিনির্ভর একমাত্র ফসল আমনের আবাদ হয়ে থাকে। এ কারণে আকাশের পানির অপেক্ষায় থাকতে হয় কৃষকদের। যদি পানি পাওয়া যায়, তবে ফলনও ভালো হয়। যে বছর অনাবৃষ্টি; সে বছর পুড়ে যায় ফসল। তবে এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদেরও তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
সুষ্ঠুভাবে আবাদের পর ক্ষেত থেকে ফসল উঠিয়ে স্তূপ করে রাখা হয়েছে উপজেলার গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত ‘সরাইগাছী জিল্লুর রহমান হাফেজিয়া মাদরাসা’র মাঠে। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে, কোনো পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়তে সারি সারি ধানসহ খড় স্তূপ (পালা) করে রাখা হয়েছে।
এলাকায় প্রায় ৫শ বিঘা সম্পদ রয়েছে। মাদরাসায় প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী। এ সম্পদ থেকে যে আয় হয়ে থাকে, তা শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়াসহ শিক্ষার কাজেও ব্যয় করা হয়।
Advertisement
স্থানীয় মাসুদ বিল্লা সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের এলাকা বরেন্দ্র ভূমি। পানির অভাবে সারাবছরই অনাবাদি থাকে। তবে বর্ষা মৌসুমে পানির ওপর নির্ভর করে আমনের আবাদ হয়ে থাকে। এলাকাবাসী মাদারাসার জমিগুলো প্রতিবছর বর্গা নিয়ে থাকে।
আমনের মৌসুমে ধানের আবাদ করে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল মাদরাসার মাঠে পালা (স্তূপ) দিয়ে রাখে। একটি নির্দিষ্ট দিনে বর্গাচাষিরা নিজ নিজ উৎপাদিত ফসল মাড়াই করে। তার থেকে একটি অংশ মাদরাসায় দিয়ে বাকিটা কৃষকরা নিয়ে যায়।
আব্বাস আলী/এসইউ/জেআইএম
Advertisement