পরিবারের ৫ সদস্যসহ করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। প্রতিমন্ত্রী ১০ অক্টোবর করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন, ৩০ অক্টোবর পরীক্ষায় তিনি নেগেটিভ হন।
Advertisement
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী নিজেই জাগো নিউজকে সপরিবারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়ে তখন মানুষকে আরও আতঙ্কিত করতে চাইনি। তাই এটি সেভাবে প্রকাশ করিনি, তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যরা এটি জানতেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে, আমার বড় ভাইয়ের এক মেয়ে, আমার স্ত্রী, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, আরও একজন আত্মীয় আমাদের সঙ্গে থাকত। তারা সবাই আক্রান্ত হয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ, সবাই সুস্থ হয়ে গেছে। আমারও কোনো জটিলতা হয়নি।’
Advertisement
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘৯ অক্টোবরের দিকে আমার শরীরটা একটু খারাপ লাগছিল। মাথাটা ব্যথা করছিল, হালকা জ্বরও ছিল। মনে হলো সামথিং রং। আমি আইসোলেশনে চলে যাই। ১০ তারিখে (১০ অক্টোবর) আইইডিসিআরের কর্মীরা এসে স্যাম্পল নিয়ে যায়। ওইদিনই রাতে রিপোর্ট পেলাম পজিটিভ। পরে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেতে থাকলাম। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যদের পরীক্ষা করা হয়, রেজাল্ট পজিটিভ আসে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার তেমন কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি। পরিবারের অন্যান্য আক্রান্তরাও ভালো ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘এরমধ্যেই ভার্চুয়ালি বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়েছি। ৩০ অক্টোবর কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসার কিছুদিন পর থেকে অফিস করা শুরু করেছি।’
ফরহাদ হোসেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর-মুজিবনগর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করলে সেখানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
Advertisement
ফরহাদ হোসেনের বাবা ছহিউদ্দীন বিশ্বাস ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক।
আরএমএম/এসএস/জেআইএম