মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার পদত্যাগ করছেন। বড়দিনের আগেই তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানানো হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ রোজেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Advertisement
সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল উইলিয়াম বারের। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গিয়ে শুরু থেকেই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি যেসব অভিযোগ তুলেছেন সেসব বিষয়ে কোন প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে এর আগে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আইন প্রয়োগকারী এই কর্মকর্তা বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এমন কোনো জালিয়াতির প্রমাণ দেখতে পাইনি যা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে। উইলিয়াম বারকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়। কিন্তু তার মুখে এমন কথা শোনার পর ট্রাম্প নিশ্চয়ই সেটা ভালো ভাবে নেননি। ধারণা করা হচ্ছে এই ঘটনার জের ধরেই হয়তো তাকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে উইলিয়াম বারের মন্তব্যের পর পরই সিনেটে ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেছিলেন যে, তিনি হয়তো বরখাস্ত হতে চলেছেন। কারণ এর আগে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ‘অত্যন্ত ভুল’ মন্তব্য করার জন্য সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছিলেন ট্রাম্প।
Advertisement
এদিকে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী ২৩ ডিসেম্বর নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন উইলিয়াম বার। পদত্যাগপত্রে এই কর্মকর্তা লিখেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে কাজ করতে পেরে তিনি নিজেকে সম্মানিত মনে করেন।
এই অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, তিনি প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। অপরদিকে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, উইলিয়ার বার ছিলেন খুব ভালো একজন মানুষ। তিনি তার কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার পর পরই উইলিয়াম বারের পদত্যাগের ঘোষণা এলো। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স পদত্যাগ করেন। সে সময়ও ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরেই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন জো বাইডেন। সে অনুযায়ী, ক্ষমতা হস্তান্তরে ট্রাম্পের হাতে বেশি সময় নেই। কিন্তু এই অল্প সময়কেও কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। তার চাপে পড়ে এখন পর্যন্ত বহু কর্মকর্তা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম