সিলেট নগরের কাষ্টঘর এলাকা থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের (সুইপার কলোনির) বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন মহাজনপট্টি এলাকার ব্যবসায়ীরা। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার তারা দোকান বন্ধ রেখে আধাবেলা ধর্মঘট পালন করেন। একইসঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন।এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়ী ও হরিজনদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কাষ্টঘর এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা অবাধে মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত, মাতাল হয়ে তারা বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও হামলা এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে এই এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।তবে হরিজন সম্প্রদায়ের একাধিক বাসিন্দা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের জায়গা দখলের জন্যই ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদের দাবি তুলেছেন।ব্যবসায়ীরা জানান, কাষ্টঘর এলাকায় অবাধে মাদকের হাট করে তুলেছে হরিজনরা। প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে এই এলাকা মাতালদের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। ব্যবসার পরিবেশ থাকে না। মাতালরা ক্রেতা-ব্যবসায়ীদেরও হেনস্তা করে। এছাড়া হরিজন সম্প্রদায়র পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালান।এসব ঘটনার জের ধরে বুধবার রাতে ব্যবসায়ী ও হরিজনদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এই সংঘর্ষের প্রতিবাদে বহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করেন ব্যবসায়ীরা। এসময় মহাজনপট্টি সড়ক অবরোধও করেন ব্যবসায়য়ীরা। অবরোধকালে ব্যবসায়ীদের কাষ্টঘরে হরিজন পল্লী লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে দেখা যায়।ধর্মঘট শেষে ব্যবসায়ীরা মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসক ও সিটি কর্পোরেশনকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি প্রদান শেষে মহাজনপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির নেতা পরিমল দত্ত পাপ্পু বলেন, আমরা হরিজন সম্প্রদায়কে কাষ্টঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছি। উচ্ছেদের পূর্ব পর্যন্ত এই এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো ও মহাজনপট্টির দিকের গেটটি বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছি। অন্যথায় আগামী শরিবার থেকে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।এ ব্যাপারে কাষ্টঘরের হরিজন সম্প্রদায়ের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। মূলত আমাদের জায়গা দখল করার জন্যই তারা উচ্ছেদের দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছেন।ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি
Advertisement