স্বাস্থ্য

ভিটামিন এ’র সাফল্য : রাতকানা রোগী এক শতাংশেরও কম

দেশে রাতকানা রোগীর সংখ্যা শতকরা এক ভাগেরও নীচে নেমে এসেছে। শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের হার শতকরা ১০০ ভাগে উন্নীত হওয়ার কারণে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছর দুইবার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পাঁচবছরের কম বয়সী শিশুদের দুই কোটিরও বেশি শিশুকে ভিটমিন এ খাওয়ানোর ফলে এ সাফল্য এসেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, ভিটামিন এ শুধু শিশুদের রাতকানা রোগ থেকেই রক্ষা করে করে তা নয়, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখা, শর্করা জাতীয় খাদ্যের স্বাভাবিক পরিপাকে সাহায্য করা, শরীরের ত্বক, হাঁড়, দাঁতের গঠন, ডায়রিয়ার ব্যপ্তিকাল ও হামের জটিলতা হ্রাস করে।এমনই এক ইতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আগামী শনিবার জনস্বাস্থ্য পুষ্টি ইনস্টিউটের আয়োজনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। এদিন রাজধানীসহ সারাদেশে ২ কোটি ১৪ লাখেরও বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসপুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে। একই সাথে শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। দেশব্যাপী ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের (বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরীঘাট, ব্রিজের টোল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন ও খেয়াঘাট) মাধ্যমে কার্যক্রম চলবে। দুর্গম এলাকায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্র খোলা থাকবে। কর্মকর্তারা শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেন, কাঁচি দিয়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত শিশুকে ক্যাপসুল না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের দাবি, বছরে দুইবার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ, শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, সকল ধরনের শিশু মৃত্যু হার শতকরা ২৪ ভাগ হ্রাস. হামজনিত মৃত্যুহার শতকরা ৫০ ভাগ হ্রাস ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুহার শতকরা ৩৩ভাগ কমানো সম্ভব।স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেসব্রিফিং এ ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কে অবহিত করবেন বলে জানা গেছে। এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement