ভ্রমণ

ঢাকার কাছেই নদীর কূলে সারাবেলা

ইট-লোহা-পাথরের শহরে বসবাস করে হাপিয়ে উঠেছেন অনেকেই। কর্মব্যস্ততা আর যান্ত্রিক কোলাহলের কারণে মানসিক চাপ তাদের নাজেহাল করে দেয়। ফলে তাদের একটু প্রকৃতির স্পর্শ দরকার হয়। দরকার সব ধরনের কোলাহল ছেড়ে একটু নির্জন পরিবেশ। সেই পরিবেশ তৈরি করেছে নিউ ঢাকা সিটি।

Advertisement

প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে, সবুজ ঘাসে পা ফেলে হাঁটতে, আবার নদীর বুকে হারিয়ে যেতে নগরবাসীর জন্য মনোরম একটি জায়গা হচ্ছে নিউ ঢাকা সিটি ইন। এটি ধলেশ্বরী নদীর তীরে গড়ে ওঠা চমৎকার একটি পিকনিক স্পট ও বিনোদনকেন্দ্র। একদিনের যেকোনো ভ্রমণে যে কারোই পছন্দ হওয়ার মতো স্থান এটি।

যেখানে নগর, নদী আর নিসর্গের অপূর্ব সম্মেলন। ঢাকার কাছেই নদীর কূলে সারাবেলা কাটিয়ে দেওয়া যায় ক্লান্তিহীনভাবেই। রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার পলাশপুর গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্হিত নিউ ঢাকা সিটি ইন।

এখানে যেকোনো ধরনের পিকনিক, ফ্যামিলি ট্যুর, কর্পোরেট প্রোগ্রাম, শিক্ষা সফর, গায়ে হলুদ, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, বন্ধু সমাবেশসহ যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায় সহজেই। এখানে পাবেন নির্ধারিত মঞ্চ, প্রশস্ত মাঠ, কিডস জোন, রিভার ক্রুজ, ফুড কোর্ট, মনোরম কটেজ, বাঁশের কটেজ, কিচেন জোন, ওয়াশরুম, প্লে গ্রাউন্ড, টেন্ট, গ্যালারি ও ক্যাটারিং সার্ভিস।

Advertisement

রাজধানীর যেকোনো স্থান থেকে খুব সকালে রওনা দিয়ে খুব কম সময়েই পৌঁছে যেতে পারবেন নিউ ঢাকা সিটিতে। পোস্তগোলা বা বাবুবাজার হয়ে যেকোনো বাহনে চলে যেতে পারবেন স্পটে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর স্ট্যান্ডে নেমে ইজিবাইকে চলে যেতে পারবেন। যাতায়াতের জন্য আব্দুল্লাহপুর না নেমে, ধলেশ্বরী জোড়া ব্রিজ সংলগ্ন টোল প্লাজায় নেমে হাতের বামে ১.৫ কিঃমিঃ পরিচিত এবং সহজ রাস্তা। নিজস্ব গাড়ি থাকলে তো কোনো কথাই নেই।

সম্প্রতি ঘুরে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মমিন উদ্দিন বলেন, ‘ডিসেম্বরের ৩ তারিখে ফ্যামিলি ট্যুরে গিয়েছিলাম আমরা। দারুণ পরিবেশ, চমৎকার ব্যবস্থাপনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। ঢাকা এতো কাছেই এমন গ্রামীণ পরিবেশ আমাদের খুবই আপ্লুত করেছে।’

কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের শিক্ষার্থী মিথিলা ফারজানা বলেন, ‘করোনার কারণে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। ঢাকার কাছেই রিসোর্টের কথা শুনে এলাম। এখানকার পরিবেশ ভালো লেগেছে। সীমিত পরিসরে হওয়ায় তেমন ভিড় নেই। একটি দিন আনন্দেই কেটে গেল।’

সৌদি আরব প্রবাসী মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, ‘সত্যিই অসাধারণ একটি স্পট। আমি পরিবার নিয়ে প্রথমবার এলাম। জায়গাটি দেখে আমার ভালো লেগেছে। এখানকার ব্যবস্থাপনাও অনেক সুন্দর। ইচ্ছা আছে, পরবর্তীতে দেশে এলে সব আত্মীয়-স্বজন নিয়ে একটি গেট টুগেদার করবো এখানে।’

Advertisement

নিউ ঢাকা সিটির কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শহরের মানুষকে গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিতেই এ আয়োজন। আমরা ভালোই সাড়া পাচ্ছি। তবে কারোনার কারণে কিছু সেবা বন্ধ আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রিসোর্টে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। আপাতত সীমিত পরিসরে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’

এসইউ/জেআইএম