পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৮ সালে আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করার পর থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সেই ষড়যন্ত্রের শুরুতেই বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছিল। নির্বিচারে সেখানে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর ক্রমাগতভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। খালেদা জিয়া ঘোষণা করেছিলেন- একদিনও শান্তিতে থাকতে দেবো না। এরপর থেকে সরকারকে টেনে নামানোর জন্য গত পৌনে ১২ বছর ধরে চেষ্টা করেছে তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছিলেন। সেই সেতু নিয়ে শুধু দেশীয় ষড়যন্ত্র নয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
Advertisement
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে আবার নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ ভূখণ্ডে শত শত বছর ধরে ভাস্কর্য রয়েছে। আমাদের দেশে মুঘল আমল থেকে ভাস্কর্য রয়েছে। স্বাধীনতার পর দেশের বহু জায়গায় অনেকে কৃতি ব্যক্তিদের ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। ইতিপূর্বে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক রাজনৈতিক নেতারাও ভাস্কর্যও স্থাপিত হয়েছে। তখন কোনও কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে হঠাৎ করে কথা হচ্ছে। এটি সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।
হাছান মাহমুদ বলেন, সৌদি আরবে ভাস্কর্যের মিউজিয়াম রয়েছে। সেখানে রাস্তায় প্রাণীর ভাস্কর্যও আছে। এমনকি সৌদি বাদশার মুখ অবয়ব ভাস্কর্য সেখানে আছে। কই মক্কা মদিনার ইমাম সাহেব কিংবা গ্র্যান্ড মুফতিরা এ নিয়ে তো কখনো প্রশ্ন তোলেনি। আমাদের এই ধর্মব্যবসায়ীরা মক্কা মদিনার ইমাম সাহেবদের চেয়েও জ্ঞানী? আসলে এরা সব ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, এ দেশ হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার। সবার মিলিত রক্ত স্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। সুতরাং এখানে ধর্মীয় বিষবাষ্প ছড়ানো সংবিধান লঙ্ঘন। এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ারই সামিল।
এ সময় মোড়ক উন্মোচন ও কৃতি শিল্পী সম্মাননা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণাও করেন মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাট্যজন ফালগুনী হামিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল মতিন ভূইঁয়া, সদস্য শাহে আলম মুরাদ, জোটের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবু, ইসমত আরা চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আশরাফুল হাসান আশু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এওয়াইএইচ/এএএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ
Advertisement