আন্তর্জাতিক

৪৩ হাজার ২০০ বার ধর্ষণ

মেক্সিকো সিটির বাসিন্দা কার্লা জেসিন্তো গত চার বছরে এক বার, দু’বার নয় ৪৩ হাজার ২০০ বার ধর্ষণের শিকার  হয়েছেন।প্রতিদিন ৩০ বার করে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে পাচারকারীরা।মেক্সিকো সিটির একটি বাগানে বসে কার্লা জানিয়েছেন তার জীবনের কালো অধ্যায়। কখন, কোথায়, কীভাবে তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তার হৃদয়বিদারক বর্ণনা দিয়েছেন। কার্লা জানান, মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি পাচারকারীদের হাতে ধরা পড়েন। একদিন মেক্সিকো সিটির একটি পাতাল রেলস্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে কয়েকজন বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় মিষ্টান্ন বিক্রেতা একটি শিশু তার হাতে একটি লজেন্স দিল। ওই শিশু তাকে বলল, কেউ একজন এটি পাঠিয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে একজন যুবক তার কাছে এলো। যুবকটি নিজেকে ব্যবহৃত গাড়ির ব্যবসায়ী পরিচয় দিল। যুবকের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয় কার্লার। ওই ব্যক্তি তাকে জানান, তিনি নিজেও শিশু বয়সে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তখন কার্লার মনে হলো, এ তো পুরোদস্তুর ভদ্রলোক। তার সঙ্গে মেশা যায়। ওই দিনই যুবকের সঙ্গে নম্বর বিনিময় হয় কার্লার। যুবকটি কার্লাকে প্রস্তাব দেন, মেক্সিকোর পুয়েবলার শহরে যেতে। এর কয়েক দিনের মধ্যে কার্লা সত্যিই এই লোকটির সঙ্গে পুয়েবলা গেল। এর জন্য অবশ্য তার মায়েরও দায় ছিল। একদিন রাতে দেরি করে ঘরে ফেরায় কার্লার মা তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি। এর পরদিনই ওই লোকটির সঙ্গে চলে যান কার্লা। এর পর থেকে শুরু হয় তার অন্ধকার জীবন।মেক্সিকোর এই নারী জানান, তাকে কয়েকটি শহরে বিভিন্ন পতিতালয়, রাস্তার পাশের মোটেলে রাখা হয়। কোনো ছুটির দিন বা অবসর ছিল না। পাচারের শিকার হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দিনে ৩০ বার বাধ্যতামূলক যৌনাচারে লিপ্ত হতে হতো। এভাবে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে। ২০০৬ সালে মেক্সিকো সিটিতে এক পাচারবিরোধী অভিযানে মুক্ত হন কার্লা। সেই থেকেই তার অন্ধকার জীবনের অবসান হয়।কার্লা বলেন, আমি সকাল ১০টায় শুরু করতাম, শেষ করতাম মধ্যরাতে। প্রতিদিন ৩০ বার চলতো যৌন নির্যাতন। এই অত্যাচারের একপর্যায়ে আমি কাঁদতে শুরু করতাম । এটা দেখে অনেক পুরুষই মজা পেয়ে হাসত। শেষদিকে আমার কোন অনুভূতি থাকতো না। এইভাবে চলতো দিনের পর দিন।জেডএইচ/আরআইপি

Advertisement