নিজের লেখা শেষ বইয়ের পাতায় সোনিয়া গান্ধী এবং মনমোহন সিংয়ের সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি। তার লেখা ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ারস’ বইয়ে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য তিনি এ দুই নেতাকেই দায়ী করে গেছেন।
Advertisement
প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের লেখা শেষ বইটি নতুন বছরের শুরুর দিকেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি ওই বইয়ের কিছু অংশ প্রকাশ্যে এসেছে। প্রণব তার বইয়ে লিখেছেন, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ইউপিএ-২ সরকারের পতনের জন্য দলের তৎকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দায়ী।
আগামী বছরের শুরুতেই প্রকাশিত হবে প্রণবের বইটি। কিন্তু প্রকাশ হওয়ার আগেই সম্প্রতি বইটির কিছু অংশ সামনে আসতেই রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেছে। ২০০৪ সাল থেকে একটানা কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার। তবে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়।
প্রণব তার বইয়ে লিখেছেন, ‘কংগ্রেসের অনেক নেতা মনে করেন ২০০৪ সালের প্রথম ইউপিএ সরকারে আমি প্রধানমন্ত্রী হলে ২০১৪ সালে দলের ভরাডুবি হতো না। তবে এই ধরাণার সঙ্গে আমার মত মেলে না।’ তিনি লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় ২০১২ সালে আমি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর রাজনৈতিক দিশা হারিয়ে ফেলেছিল কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধী দল ঠিক মতো পরিচালনা করতে পারছিলেন না। এছাড়াও সংসদে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রায়ই অনুপস্থিত থাকতেন। সাংসদদের সঙ্গে তার যোগাযোগ কমে গিয়েছিল।’
Advertisement
নিজের লেখা শেষ বইটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও প্রসঙ্গ টেনেছেন প্রণব মুখার্জি। সংসদে মনোমহন সিংয়ের অনুপস্থিতির সঙ্গে মোদির মিল পেয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ারস’-এ প্রণব মুখার্জি লিখেছেন, ‘প্রশাসনের কার্যকারিতা, সরকারের দায়িত্বের অনেকটাই প্রধানমন্ত্রীর উপর নির্ভরশীল হয়। মনমোহন সিংয়ের প্রায়ই সংসদে অনুপস্থিতির কারণে সে কাজ ব্যাহত হয়েছে। ২০১৪ সালে এনডিএ সরকারেও মোদির ভূমিকায় বিচার-ব্যাবস্থার সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়।’
নিজের লেখা শেষ বইয়ে অকপট স্বীকারোক্তি দিয়েছেন প্রণব মুখার্জি। তিনি লিখেছেন, ২০০৪ সালে তার নিজেরও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে তা না হওয়ায় মনে দুঃখও পেয়েছিলেন তিনি।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement