স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, নিরাপদ প্রসবের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু হ্রাস ও নারী-কন্যাশিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএপিপিডি) নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বিএপিপিডির আওতাধীন বিভিন্ন সাব-কমিটি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করেছে যা কার্যকর পদক্ষেপ। এ ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যেতে হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার ( ১০ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আয়োজিত বিএপিপিডির তৃতীয় সভায় সংগঠনের সভাপতি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর কারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
স্পিকার বলেন, দশম জাতীয় সংসদ থেকেই ধারাবাহিকভাবে এসপিসিপিডি প্রকল্পটি কার্যকর রাখা হয়েছে এবং সাব-কমিটিগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও স্থায়ী কমিটিতে রিপোর্ট প্রদান, বিদ্যমান আইন পর্যালোচনার মাধ্যমে অব্যাহতভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা তৈরি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিরলস কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক জনসচেতনতা তৈরি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট পরিসরে এলাকাভিত্তিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণসহ আরও ব্যাপকভাবে উদ্ভাবনী উপায়ে কাজ করার পরামর্শ দেন স্পিকার।
সভায় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, আ স ম ফিরোজ, শহীদুজ্জামান সরকার, মেহের আফরোজ, আরম দত্ত, মো. হাবিবে মিল্লাত, শামসুল হক টুকু, আব্দুস শহীদ, ফখরুল ইমাম, বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, আদিবা আঞ্জুম মিতা প্রমুখ সংসদ সদস্যসহ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি আশা টোর্কেলসন বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন। সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এসএস/জেআইএম