টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৫টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এদের মধ্যে ৩০টি প্রধান শিক্ষক ও ২৫টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে।ওইসব প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে ৩০টি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নতুন জাতীয়করণকৃত ৭২টি বিদ্যালয়সহ ১৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও ওইসব বিদ্যালয়ের কোনো প্রধান শিক্ষক পদায়ন করা হয়নি। অপরদিকে ওইসব বিদ্যালয়ের ২৫টি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে প্রায়ই ক্লাস বন্ধ রেখে দাপ্তরিক কাজে উপজেলা সদরে যেতে হয়। বাকি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্মসহ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিঘ্নিত হচ্ছে। পাহাড়কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবিদ হাসান বলেন, হেড স্যার নাই। ভারপ্রাপ্ত হেড স্যার প্রায়ই ক্লাসে থাকেন না। নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় আমাদের লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হয়। শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় বিঘ্ন ঘটার বিষয়টি স্বীকার করে একাধিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় প্রায়ই দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে ক্লাস বন্ধ রেখে উপজেলা সদরে যেতে হচ্ছে। এতে করে অপর শিক্ষকদের দুইজন শিক্ষকের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। এ ব্যপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, উপজেলার যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ের তালিকা প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।এমএএস/এমএস
Advertisement