ভোলার মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের ডিম ছাড়া ও ভরা প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার অপরাধে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২০৭ জেলে এক মাস পর আপিল শুনানি শেষে জরিমানার বিনিময়ে মুক্তি পাচ্ছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে এ মুক্তি দেয়া হচ্ছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেন ৬০ জন। মঙ্গলবার আপিল শুনানি শেষে এক দিনে ১৭ জনকে জরিমানার মধ্য দিয়ে মুক্তি দেন এডিএম মো. আব্দুল হালিম। এর আগে ৪ দিনে অবমুক্তি দেয়া হয় ২২ জনকে। এদের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এবছর ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিন নদী ও সাগর মোহনায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রি করার অপরাধে ৫৪২ জনকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এদের মধ্যে ২০৭ জনকে কারাদণ্ড ও ৩৩৫ জনকে জরিমানা করা হয়। এদিকে কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত জেলেরা এক মাসের অধিক সময় কারাগারে রয়েছেন। এদের সাজা মওকুফের আপিল করা হয়। এ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ইলিশ মাছ কেনার অপরাধে লালমোহন উপজেলার গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ শক্তির ৩ জন স্টাফও ছিলেন। আপিল শুনানিতে এরাও জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান। অমিতাভ অপু/এমএএস/এমএস
Advertisement