তথ্যপ্রযুক্তি

স্মার্টফোন দিয়ে করোনা পরীক্ষা, ৩০ মিনিটে ফল : দাবি গবেষকদের

ল্যাবরেটরির বড় বড় যন্ত্রপাতি নয়। স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা আরও দ্রুত ও সহজ হতে পারে বলে দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। তাদের নতুন গবেষণায় করেছেন, মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করা যাবে মুঠোফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে। খবর গণমাধ্যমের।

Advertisement

ক্রিসপার নামক এক অভিনব ‘জিন-এডিটিং’ প্রযুক্তি গড়ে তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রযুক্তি দিয়ে স্মার্টফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে দ্রুত ও সহজে করা যাবে করোনা পরীক্ষা। এ বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ী জেনিফার ডৌডনা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন, যা ‘সেল’ নামক গবেষণাপত্রে প্রকাশ হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ক্রিসপার নির্ভর প্রযুক্তির সাহায্যে যে করোনা টেস্ট করা হয়, যেখানে লালারসের নমুনাকে ‘ক্যাস ১৩’ নামে একটি উৎসেচকের সঙ্গে মেশানো হয়। মিশ্রণটিকে একটি যন্ত্রে রাখা হয়, যার সঙ্গে স্মার্টফোন সংযুক্ত করা হয়। যদি ওই মিশ্রণে ভাইরাসের জিন থাকে, তাহলে রঙের তফাতের কারণে ‘ক্যাস ১৩’ তাকে খুঁজে আলাদা করে ফেলে। এই প্রক্রিয়া পরীক্ষাগারের তুলনায় অনেক দ্রুত হয়। এর মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাসের পজেটিভ বা নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়।

টেস্টের জন্য প্রয়োজন একটি স্মার্টফোন ও একটি ছোট অন্ধকার বাক্স।  ছবি : ড্যানিয়েল ফ্লেচার

বিজ্ঞানীদের দাবি, ‘স্মার্টফোনের ক্যামেরা পরীক্ষাগারের যন্ত্রপাতির তুলনায় রঙের পার্থক্য বুঝতে পারে, অনেক দ্রুত ভাইরাসের জিন চিহ্নিত করতে সক্ষম।’

Advertisement

‘সেল’-এ প্রকাশিত গবেষণার অপর একজন সহযোগী গবেষক গ্ল্যাডস্টোন ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজির পরিচালক মেলানি ওট বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য কেবল পরীক্ষা বাড়ানোই নয় পরীক্ষার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা বের করাও জরুরি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘আমরা যে ধরনের পদ্ধতি তৈরি করেছি তা করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত, কম খরচের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে’ বলে তিনি দাবি করেছেন।

এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় সে ব্যাপারে ভাবছেন বিশ্ব নেতারা। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও করোনা মহামারি মোকাবিলায় গণ-টিকাদান কর্মসূচিতে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘মোবাইল প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কোভিড-১৯ টিকাকরণ কর্মসূচি অভিযান শুরু করতে পারব।’

এআরএ/এমকেএইচ

Advertisement