আসন্ন পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও উপনির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ জানিয়েছে বিএনপি। এসব নির্বাচনে কোথাও কোথাও তাদের প্রার্থীদের বাধা, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, হামলা, মামলা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি প্রতিনিধি দল।
Advertisement
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীরের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তারা। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর দেশের ১০টি উপজেলা, পাঁচটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মেয়র পদে সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া আগামী ২৮ ডিসেম্বর ২৫টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অভিযোগনামায় বিএনপি উল্লেখ করে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বরাবরের মতোই স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয় অংশ নিচ্ছে। যদিও বর্তমান সরকার বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের পথ সঙ্কুচিত করেছে। তথাপি গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির সীমিত সুযোগেও সরকার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
Advertisement
লিখিত অভিযোগে বিএনপির প্রতিনিধি দল জানায়, এসব নির্বাচনে সরকার ও সরকারদলীয় প্রার্থীরা বেপরোয়াভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারণা, সাধারণ মানুষের ভোটদানে বাধা, সরকারদলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করার সব অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা বারবার স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ করার পরও তারা অজ্ঞাত কারণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে। বিগত দিনেও আমরা দলীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করার পরও কোনো রূপ প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এ সময় দলটির পক্ষ থেকে কয়েকটি উপজেলা ও পৌর নির্বাচনের বর্তমান বাস্তব সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা প্রায় সব নির্বাচনী এলাকায়ই বিরাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার জন্য বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মতিউর রহমান ঝালুকে জিম্মি করে অনৈতিকভাবে চাপ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে।
ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার শুরু থেকেই স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা হুমকি দিচ্ছে এবং গত ৫ ডিসেম্বর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নায়াব ইউসুফের খাবাসপুরের নির্বাচনী ক্যাম্প রাতের অন্ধকারে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গুঁড়িয়ে দেয়।
অভিযোগে দলটি আরও বলে, পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ ভোটারদের ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয়ভীতি এবং প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে।
Advertisement
এ সময় আরও অনেক এলাকার অনিয়মের কথা তুলে ধরে প্রতিনিধি দল।
এইচএস/এমআরআর/এমএস