ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ছড়িয়ে পড়া রহস্যজনক রোগের কারণ সীসা ও নিকেলের মতো ভারী ধাতব পদার্থযুক্ত পানি পান করা। এআইআইএমএস, একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা ও রাজ্যের বিশেষজ্ঞ দলের প্রাথমিক পরীক্ষার ভিত্তিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
গত শনিবার রাত থেকে হঠাৎ করেই অন্ধ্র প্রদেশের ইলুরু শহরে ছড়িয়ে পড়ে রহস্যময় রোগটি। এতে আক্রান্তদের বমি বমি ভাব, আচমকা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি, কাঁপুনি, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, মুখে ফেনা ওঠার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে এপর্যন্ত ৫০৫ জন ওই অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৭০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, আরও ১২০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ‘রহস্যময়’ ওই রোগে এখন পর্যন্ত অন্তত একজন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোগীদের শরীরে ভারী ধাতব বস্তুর উপস্থিতির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং তাদের চিকিৎসা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এতে আরও বলা হয়, ভারতীয় রাসায়নিক প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটসহ অন্য সংস্থাগুলো পানিতে ধাতব বস্তুর বিষয়ে আরও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করছে। শিগগিরই এসব পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Advertisement
বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা রোগী নিয়ে ভারত যখন মহামারি ঠেকাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই দেশটিতে রহস্যজনক রোগের বিস্তার নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এছাড়া ভারতের যেসব এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি তার মধ্যেও অন্যতম অন্ধ্র প্রদেশ। আট লাখেরও বেশি কোভিড-১৯ রোগী নিয়ে দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমিত রাজ্য এটি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, বিবিসি
কেএএ/এমকেএইচ
Advertisement