ম্যাচশেষে স্কোরকার্ড বলছে, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে ১১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। কিন্তু আসলে ম্যাচের দৃশ্যপট এতটা সহজ ছিল না। বরিশালকে জেতার জন্য তাড়া করতে হয়েছে ২২১ রানের বিশাল লক্ষ্য, গড়তে হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডও।
Advertisement
আর এ কাজটি সফলভাবে করার মূল নায়ক বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে উইকেটে এসে শেষপর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। মাঝের ১৩.৪ ওভার উইকেটে থেকে তিনি মোকাবিলা করেছেন ৪২টি বল, ৯ চারের সঙ্গে ৭ ছক্কার মারে করেছেন কাটায় কাটায় ১০০ রান। তার এই রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির সুবাদেই ১১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে গেছে বরিশাল।
পারভেজ ইমন যখন উইকেটে আসেন, তখন জয়ের জন্য ৯৩ বলে ১৭৭ রান করতে হতো বরিশালকে। রানরেটের এই বিশাল চাপ মাথায় রেখেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ইমন, দলকে এনে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য এক জয়। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এ ওপেনার।
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে জানিয়েছেন, রান না দেখে বরং ওভারপ্রতি খেলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। আর এতেই মিলেছে সাফল্য। ইমনের ভাষ্য, ‘আমাদের বড় রান তাড়া করতে হতো। চেষ্টা করেছি নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে যেতে। রান দেখার চেষ্টা করিনি। ওভার দেখেছি, ওভার দেখে খেলেছি। আজকের উইকেটটা ভালো ছিল। আমরা সেই অনুযায়ীই ব্যাটিং করেছিলাম।’
Advertisement
পরে ম্যাচ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত ভিডিওবার্তায় তিনি নিজের ব্যাটিংয়ের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবালকেও। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৫৪ বলে ১১৭ রান যোগ করেন ইমন ও তামিম। যেখানে সিংহভাগ রানই করেছেন ইমন। তবে অপরপ্রান্তে সিনিয়র পার্টনারের উপস্থিতি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দিয়েছে ইমনকে। তিনি বলেন, ‘আসলে বোঝানো যাবে না, আমার কেমন লাগছে। এটা আমার জন্য আসলে অনেক ভালো হয়েছে, আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তামিম ভাই আমাকে শুধু বলেছেন, নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যে, উনার ব্যাটিং দেখলে আমার নিজের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। আমি মনে করি, ঐটাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
এসএএস/এমএমআর/এমকেএইচ