বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেছেন, চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও গবেষণায় ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড কিপিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রেকর্ড সংরক্ষণের প্রচলিত পদ্ধতিতে কয়েক বছর পর পরই তা ধ্বংস করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ইলেকট্রনিক রেকর্ডে প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণ করা সম্ভব।তিনি বলেন, রেকর্ড অনেক সময় শিখরে নিয়ে যায়। পূর্ব পুরুষের ইতিহাস জানতে সাহায্য করে। পরবর্তী প্রজন্ম অতীত বিষয়ে জানতে পারে। রেকর্ড না থাকায় আমেরিকা আবিষ্কারে চীনাদের দাবি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।আজ বুধবার বিএসএমএমইউতে ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড কিপিং : টুওয়ার্ডস এ পেপারলেস হসপিটাল শীর্ষক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন মিয়া, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও নিউ কম্পিউটার বেসইসড অটোমোশন কার্যক্রমের উপর বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। দ্বিতীয় পর্বে ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড কিপিং-এর উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউর আইটি সেলের ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, সেবা ও গবেষণায় মানের দিক দিয়ে বিশ্বমানে উন্নীত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫৬টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স চালু রয়েছে। বহির্বিভাগে দৈনিক ৫ থেকে ৭ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।এদেশের চিকিৎসা সেবার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। রোগীরা এখন আর খুব একটা দেশের বাইরে যায় না। এ কারণে এদেশের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অটোমশন কার্যক্রমের প্রথম পর্যায় বাস্তবায়ন হয়েছে।এমইউ/জেডএইচ/পিআর
Advertisement