আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে যশোরে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হচ্ছে। জেলার উপশহর মাঠ ও আশপাশের এলাকাজুড়ে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতের জন্য ইজতেমার মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নেয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগামী ১৪ নভেম্বর আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে। ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য প্রফেসর জাকির আহম্মেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতি জানুয়ারি মাসে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে অংশ নেন। কিন্তু সেখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১৬ সালে সেখানে ৩২ জেলার মুসল্লিদের যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। অন্য জেলার মুসল্লিরা নিজ নিজ এলাকায় আঞ্চলিক বিশেষ ইজতেমার আয়োজন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় যশোরে বৃহস্পতিবার থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইজতেমা। গত দুই দিন আগে থেকেই ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। বুধবার সন্ধ্যায়ই চলে এসেছেন ২০ সহস্রাধিক লোক।যশোর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মীর শাফিন মাহমুদ জানিয়েছেন, ইজতেমার নিরাপত্তার জন্য ২০টি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব পয়েন্টে ২শ ফোর্স থাকবে। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, থানার মোবাইল টিম থাকবে। এছাড়া আয়োজক কমিটির অধীনে ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবকও রয়েছে। তারাও আইনশৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করবে। এছাড়া ইজতেমা এলাকা সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স ক্যামেরার (সিসি টিভি) আওতায় আনা হয়েছে।আয়োজক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, উপশহর মাঠ, বাদশা ফয়সাল স্কুল মাঠ, উপশহর ঈদগাহ মাঠের পাশাপাশি মুসল্লিদের সমাগম বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে বিরামপুর স্কুল মাঠ, সারথী মিল মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। ইজাতেমা মাঠে বিশুদ্ধ পানির ট্যাংক ও ওজুর স্থানসহ নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক টয়লেট। এছাড়া মুসল্লিদের গোসলের জন্য উপশহর পার্কের লেকের চতুর্দিকে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ঘাট। এদিকে, ইজতেমা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং মেহমানদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদ কাজী নাবিল আহম্মদ, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদারসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় ইজতেমা মাঠ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মিলন রহমান/এমএএস/পিআর
Advertisement