পরপর দু’বার ম্যাচ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার পর শুরুর আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা আগে ম্যাচ স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের হুমকির কারণে ওয়ানডে সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। অর্থ্যাৎ সিরিজটিকে পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা করতে হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার ছিল ওয়ানডে সিরিজ শুরুর তারিখ। ওইদিন ম্যাচ শুরুর একঘণ্টা আগে জানা গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের একজনের কোভিড-১৯ পজিটিভ। উপায়ান্তর না দেখে ওইদিনের জন্য ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হলো দুই দল।
কথা ছিল রোববার থেকে শুরু হবে সিরিজ। সে মতে রুটিন টেস্টেও রেজাল্ট আসলো দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সবারই করোনা নেগেটিভ। কিন্তু বিপত্তি বাধলো, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ড, দুই দলই যে হোটেলে অবস্থান করছিল, সেই হোটেলের দুই কর্মচারির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
যে কারণে রোববার ম্যাচ শুরুর আধাঘণ্টা আগে বাতিল ঘোষণা করা হয় সেদিনের মতো। যার ফলে একপ্রকার অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ। শেষ পর্যন্ত সোমবার এসে সিরিজ পুরোপুরিই বাতিল ঘোষণা করা হল। এর জেরে বড় ক্ষতির মুখেই পড়তে হচ্ছে সম্প্রচারকারী চ্যানেল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড- সবাইকেই।
Advertisement
সোমবার দুই ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বলা হয়, ‘ইংল্যান্ড শিবিরে দুজনের কোভিড-১৯ টেস্ট হয়েছে; কিন্তু তাদের রিপোর্ট হাতে আসেনি। দুই বোর্ডই রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিল। তা দেখেই ম্যাচের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। কিন্তু কেপটাউনে ম্যাচের দিনও তা না মেলায় ম্যাচ স্থগিত রাখার কথাই ঠিক করা হয়। কিভাবে এবং কবে তিন ম্যাচের সিরিজের এই দুটি ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হবে, তা আলোচনা করে দেখা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সিরিজ বাতিল করা হল।’
এর ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড। কারণ এই সিরিজে টেলিভিশন সত্ত্ব থেকে ৪.২ মিলিয়ন ডলার আয় করার কথা ছিল তাদের।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এক প্রোটিয়া ক্রিকেটার করোনা পজিটিভ হতেই আতঙ্ক ছড়ায় টিম হোটেলে। সেই প্রেক্ষিতেই করোনা টেস্ট করান হোটেল কর্মীরাও। সেখানেই দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই বাড়ে উদ্বেগ।’
জানা যায়, সুরক্ষিত কি না জানতে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও করোনা পরীক্ষা করান। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে যায়। শেষ অবধি সিরিজটাই বাতিল হয়ে গেল। ১০ ডিসেম্বর একটি চাটার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ইংল্যান্ড দলের।
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম