প্রথম চালানে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সিনোভ্যাকের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১২ লাখ ডোজ বিশ্বের চতুর্থ জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
Advertisement
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাওয়া ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় রোববার শেষ রাতে এক ফ্লাইটে প্রথম চালান পৌঁছায়। আগামী মাসে দ্বিতীয় চালানে আরও ১৮ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে দেশটি।
যদিও চীনের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এখনও ব্যাপকহারে বিতরণের জন্য দেশের কোনো ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়নি। দেশটি শুধু জরুরি ব্যবহারের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে।
আল-জাজিরা জানাচ্ছে, সোমবার ইন্দোনেশিয়া সরকারের করোনার মোকাবিলা দলের প্রধান আয়ারলাঙ্গা হারতার্তো বলেন, প্রথম চালানে আসা ভ্যাকসিন ডোজ পরীক্ষা করে দেখে খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষ। আর সবার আগে স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য গোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
Advertisement
এ ছাড়া ভ্যাকসিনটি হালাল কিনা তা জানতে সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ইন্দোনেশিয়া উলেমা কাউন্সিলও (এমইউআই) প্রথম দফায় আসা ভ্যাকসিনের চালান পরীক্ষা করে দেখবেন বলে জানান সরকারি কর্মকর্তারা।
ভ্যাকসিনের প্রথম চালান গ্রহণ করে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ যে এই ভ্যাকসিনটি এখন পাওয়া যাচ্ছে এবং আমরা দ্রুতই কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের বিস্তার রোধ করতে পারি।’
জনস্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সমস্ত পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, আগস্টে ইন্দোনেশিয়ায় সিনোভ্যাকের তৈরি ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়।
এশিয়ার যেসব দেশে মহামারি করোনার প্রকোপ বেশি এর মধ্যে একটি ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত পৌনে ছয় লাখ রোগীর ১৭ হাজারের বেশি মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সংক্রমণ মৃত্যু আরও বেশি।
Advertisement
এসএ/এমকেএইচ