দেশজুড়ে

মোরেলগঞ্জে ১০ বছর বয়সী মাদরাসাছাত্রকে খুন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার আলহাজ রহমাতিয়া শিশু সদনের হেফজখানায় হাসিবুল ইসলাম নামের ১০ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

Advertisement

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

হাসিবুল ওই মাদরাসায় পাঁচ বছর আগে ভর্তি হয়। সে নজরানা বিভাগের ছাত্র ছিল। সে মোরেলগঞ্জ পৌরএলাকার বারুইখালী গ্রামের সোবহান শেখের ছেলে।

মাদরাসার অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়ের। দ্রুতই এই ঘটনার রহস্য উম্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

পুলিশ ও মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন আলহাজ রহমাতিয়া শিশু সদনে হেফজখানার নজরানা বিভাগের ছাত্র হাসিবুল ইসলাম প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে কোরআন পড়ে ভাত খেয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে নিজ বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে। রোববার ফজরের নামাজ শেষে নিজ কক্ষে ফেরার পথে হেফজখানার পেছনের বাগানে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখে জিহাদী ও কাওছার নামের দুই সহপাঠী। পরে তাদের চিৎকারে অন্যান্য সহপাঠীসহ মাদরাসা সুপার ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতালে পাঠায়।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ ক্রাইম সিনের সদস্যরা। প্রাথমিকভাবে মাদরাসা সুপার মাওলানা হাফেজ মো. হাফিজুর রহমান, বাবুর্চি ও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আলহাজ রহমাতিয়া শিশু সদনের হেফজখানার সুপার মাওলানা হাফেজ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রাত ১০টার দিকে হসিবুলসহ সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। রোববার সকালে ফজরের নামাজের সময় তার সহপাঠী এক ছাত্র জানায় ও অজু করতে বের হয়েছে। আমরা নামাজ শেষ করার পর জানতে পারি এ ঘটনা।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি বলেন, ‘এই মাদরাসায় ৩৫ জন ছাত্র লেখাপড়া করে। এখানে এমন কোনো ঘটনা রয়েছে যে কারণে শিশুটির মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, আমরা আলামত সংগ্রহসহ হত্যার কারণ উৎঘাটনে কাজ করছি। যাদের যাদের সন্দেহ হয় তাদের বিষয়ে আমরা আরও খোঁজখবর নেব। খুব দ্রুতই সংশ্লিষ্টদের আটক করা হবে।

Advertisement

শওকত বাবু/এসআর/এমকেএইচ