নিউজিল্যান্ডে পা রাখার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে যখন দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চরম আপত্তিকর নির্দেশনা জারি হয়, তখন একের পর এক করোনা আক্রান্ত হতে থাকেন পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। সব মিলিয়ে দলটির ১০ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
Advertisement
অথচ, পাকিস্তানে যখন নিয়মমাফিক করোনা টেস্ট করা হয়েছিল, তখন তাঁদের কারোরই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি। এ কারণে এবার পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। জানা গেছে, পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলার সময়ই বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের জ্বর এবং সর্দি-কাশি হয়। এরপর তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হলেও সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
অথচ নিউজিল্যান্ডে গিয়ে নিয়ম মেনে করোনা পরীক্ষার পরই আবার তাদের রিপোর্ট পজিটিভ চলে আসে। সব মিলিয়ে পাকিস্তান শিবিরের ১০ জন ক্রিকেটারের করোনা ধরা পড়ে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
তাছাড়া ৩৫ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার এবং ১৮ জন কর্মকর্তার দলটি যাত্রীবাহী বিমানে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ায়, তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কও তৈরি হয়েছে। এরপরই গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পিসিবি।
Advertisement
পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, যে সব ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা মূলতঃ পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দু’টি প্রদেশেরই খেলোয়াড়। এছাড়াও অধিকাংশই পিসিএলে একই দলে ছিলেন।
অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ওই ফ্র্যাঞ্চাইজির একজন বিদেশি খেলোয়াড়ও নিজের দেশে ফেরার পর করোনা পজিটিভ হন। পুরো ঘটনায় গাফিলতির ইঙ্গিত পেয়েই পিসিবির পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডে পা রাখে পাকিস্তানের টেস্ট, টি-টোয়েন্টি দল এবং সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে মোট ৫৩ জন সদস্য। সেদিন এই ৫৩ জনেরই করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
এরপরই সবমিলে মোট দশজনের করোনা আক্রান্তের খবর সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ নিউজিল্যান্ড প্রশাসনের। এ নিয়ে তারাও পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টকে একহাত নিয়েছে। ক্ষুব্ধ কিউয়ি প্রশাসন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তাও দিয়ে দেয়।
Advertisement
আইএইচএস/এমএস