দেশজুড়ে

প্রধানমন্ত্রীর আগমন : বগুড়ায় বাসা-বাড়িতে অতিথি নিষেধ

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বগুড়া আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে মহাসড়ক এবং শহরের অভ্যন্তরে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল শহরের জলেশ্বরীতলা আবাসিক এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ করার পাশাপাশি অতিথি আগমনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।প্রধানমন্ত্রীর বগুড়া সফরকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে বগুড়া শহর। বিশেষ করে মাঝিড়া সেনানিবাস থেকে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ পর্যন্ত সড়ক পথে প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের রাস্তাকে সর্বোচ্চ নিরাপদ রাখতে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তুলেছে নিরাপত্তা বাহিনী।  জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন জানান, যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে বগুড়া সেনানিবাস থেকে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ পর্যন্ত মহাসড়ক ও সড়কের দু’ধারের সব ভাসমান দোকানপাট তুলে দেয়া হয়েছে। রাস্তার দুই পাশের সব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমনের দিন বৃহস্পতিবার শহরের বনানী হতে সাতমাথা হয়ে থানার মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের সব দোকনপাট এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সার্কিট হাউজ ও এর আশে পাশে, বিশেষ করে শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথায় অবস্থিত সবধরনের ভাসমান দোকান-পাট তুলে দেয়া হয়েছে দু’দিন আগেই। নিরাপত্তার কারণে জিলাস্কুল ও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে বৃহস্পতিবারের জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র অন্যত্র সরিয়ে বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নেয়া হয়েছে। আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন ৩০টির বেশি কোচিং সেন্টার বুধবার থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত জলেশ্বরীতলা এলাকার সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে মঞ্চে ভাষণ দেবেন ইতোমধ্যেই জনসভার সেই মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো মাঠ তল্লাসি করেছেন। আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠের চারপাশে বসবাসকারীরা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বাসায় যেন কোনো আত্মীয় স্বজন না আসে সে ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এমনকি নিরাপত্তার স্বার্থে বাসার ছাদে এবং বেলকোনিতে বের হতেও নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি বাসার ছাদে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন মসজিদে শুধুমাত্র আশে-পাশের মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাইরের মুসল্লিদের কষ্ট করে অন্য কোথাও নামাজ আদায়ের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফর নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে দিন-রাত বিরামহীন পরিশ্রম করছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। পুলিশের একাধিক টিম শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। সন্দেহভাজন এলাকায় তল্লাসি চলছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া শেষ। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সব এলাকাতেই মোতায়েন রয়েছে।লিমন বাসার/ এমএএস/পিআর

Advertisement