সুস্থতা মহান আল্লাহ তাআলার অন্যতম নেয়ামত। কিন্তু একান্তই যদি কেউ এমন অসুস্থ হয়ে যায় যে, তার সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকে। অসুস্থতার কষ্ট যত বেশিই হোক না কেন, মৃত্যুও কামনা করা যাচ্ছে না; সেই মুহূর্তে অসুস্থ ব্যক্তি কিংবা তার পরিবার আল্লাহর কাছে কী দোয়া করবেন?
Advertisement
অসুস্থ ব্যক্তির অসুখ যখন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন অনেকেই মৃত্যু কামনা করেন। না, এটি ঠিক নয়। বাঁচা কিংবা মৃত্যু যখন নিশ্চতভাবে কেউ জানে না; তখন আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে এ দোয়া করতে বলেছেন বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন কখনো দুনিয়ার বালা-মুসিবতে (প্রচণ্ড অসুস্থতায়) পড়ার কারণে মৃত্যু কামনা না করে, বরং সে যেন বলে-
اَللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِيْ - وَ تَوَفَّنِيْ اِذَا كَانَتِ الْوَ فَاةُ خَيْرًا
Advertisement
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আহ-য়িনি মা কানাতিল হায়াতু খাইরান লি, ওয়া তাওয়াফফানি ইজা কানাতিল ওয়াফাতু খাইরান।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! যতদিন আমার জীবিত থাকা মঙ্গলজনক হয়, ততদিন পর্যন্ত আপনি আমাকে জীবিত রাখুন, আর যখন আমার মৃত্যু মঙ্গলজনক হয় তখন আপনি আমাকে মৃত্যু দিন ‘
তবে অসুস্থত হয়ার আগে সুস্থতাকে মর্যাদা দেয়া সুন্নাত আমল। কেননা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আগে সুস্থতাকে মর্যাদা দেয়ার কথা বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। একান্তই যদি কেউ প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে যায় তবে এ দোয়ার মাধ্যমে কল্যাণকর সুস্থতা কিংবা মৃত্যুর দোয়া করা জরুরি।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, প্রচণ্ড অসুস্থতায় অধৈর্য না হয়ে, বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা এবং তাওবাহ-ইসতেগফার করা। পাশাপাশি উল্লেখিত দোয়া বেশি বেশি পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা পুরো মুসলিম উম্মাহকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কল্যাণকর জীবন ও মৃত্যুর কামনায় বেশি বেশি এ দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম