আল্লাহ তাআলা বিশেষ একশ্রেণির মানুষকে জান্নাতে বেশি বেশি মেহমানদারী করবেন। দুনিয়ার একটি আমলের উপর নির্ভর করেই জান্নাতের এ বিশেষ মেহমানদারি করা হবে। কী সেই আমল? এ সম্পর্কে বিশ্বনবি কী ঘোষণা দিয়েছেন?
Advertisement
হ্যাঁ, সব নেক আমলকারীর জন্যই রয়েছে জান্নাত। গোনাহমুক্ত ঈমানদারের জন্য জান্নাতের অসংখ্য নেয়ামতের কথাও কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনায় ওঠে এসেছে। কিন্তু মুমিন বান্দার একটি বিশেষ আমলের কারণে আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতে বেশি বেশি মেহমানদারির আয়োজন করবেন। হাদিসের বর্ণনায় তা প্রমাণিত।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় যতবার মসজিদে যাবে; আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে ততবার মেহমানদারীর ব্যবস্থা করবেন।’ (বুখারি)
এ হাদিস থেকে একটি বিষয় প্রমাণিত যারা নিয়মিত জামাআতে সঙ্গে নামাজ আদায় করেন, তারা প্রতিদিন ন্যূনতম পাঁচ বার মসজিদে গমন করেন। যদি কেউ শুধু জামাআতের জন্য মসজিদে যান, তাতেও মহান আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাকে জান্নাতে ততবার মেহমানদারির ব্যবস্থা করবেন।
Advertisement
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার ঘরকে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আবাদ করা। মসজিদ তৈরি থেকে শুরু করে মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনা করা। মসজিদ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা। নামাজের জন্য মসজিদে আসা এবং মসজিদে অবস্থান করে নামাজসহ তাসবিহ-তাহলিল ও কুরআন তেলাওয়াতে অতিবাহিত করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি মসজিদে আসা-যাওয়ার তাওফিক দান করুন। মসজিদের সঙ্গে আত্মার সুসম্পর্ক গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। জান্নাতে বেশি বেশি আল্লাহর মেহমান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস
Advertisement