করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২৪ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২০ ও নারী ৪ জন। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৭৭২ জনে।
Advertisement
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৫২৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪১টি। এ সময়ে করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হন আরও দুই হাজার ২৫২ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯১ জনে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৭২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৫১ জন।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ৪৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৬ হাজার ৭৭২ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ১৮৪ (৭৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৫৮৮ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৪৫ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪ জনের মধ্যে শূন্য থেকে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুইজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৭ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রামে দুইজন, রাজশাহীতে একজন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে একজন, রংপুরে একজন এবং ময়মনসিংহে তিনজন।
Advertisement
এমইউ/জেএইচ/এমএস