প্রতি বছর শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করে অতিথি পাখি। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে জেলার চারটি হাওরাঞ্চল। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু পাখি ব্যবসায়ী ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি নিধনে মেতে উঠে। পাখি শিকারিরা এ সকল পাখি স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করছে প্রকাশ্যে। পাখি শিকার করা আইনত নিষিদ্ধ হলেও এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নেত্রকোনার খালিয়াজুরি, মোহনগঞ্জ, মদন, কলমাকান্দার হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন উপজেলার বড় বড় হাওরের জলাশয়ে খাবারের সন্ধানে প্রতি বছরই শীত মৌসুমে এসে জড়ো হয় বিভিন্ন প্রজাতির বাঁলি হাঁস, ল্যান্জা হাঁস, চখা, পাণকৌড়ি, ডাহুক, সরালী ও কাইমসহ শত প্রজাতির অতিথি পাখি। এ সকল বিদেশি অতিথি পাখিরা শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা ও খাবারের সন্ধানে হাজারো মাইল পাড়ি দিয়ে সাইবেরিয়া থেকে আসে এ সকল অঞ্চলে। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু পাখি শিকারিরা ফাঁদ পেতে শিকার করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে। এভাবে অতিথি পাখি নিধন হলে পরিবেশ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে বলে অভিমত স্থানীয় সচেতন মহলের। নেত্রকোনার পরিবেশ কর্মী এনামুল হক পলাশ জাগো নিউজকে জানান,পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাক-পাখালির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এ সকল পাখি রক্ষায় প্রশাসনসহ স্থানীয়দের এগিয়ে আসা জরুরি।পাখি ধরে শিকার করে বিক্রির কথা স্বীকারও করেছেন শ্যামগঞ্জ এলাকার পাখি শিকারি আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি জাগো নিউজকে জানান, শীত মৌসুমে কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে তিনি মাঝে মধ্যে পাখি ধরে থাকেন । নেত্রকোনার সাকুয়ার পরিবেশ কর্মী শামীম আহম্মদ জাগো নিউজকে জানান, যারা পাখি নিধনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে হবে। পাখি নিধন দণ্ডনীয় অপরাধ স্বীকার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জাগো নিউজকে জানায় নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খাঁন মো. আবু নাসের। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দায়ীদের শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি। কামাল হোসাইন/এসএস/পিআর
Advertisement