বাস পোড়ানোর ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা পৃথক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অর্ধশতাধিক নেতার আগাম জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
রাষ্ট্রপক্ষের জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতায় রায় চৌধুরী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা ৭টি মামলায় ৬৫ জনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
Advertisement
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন কয়েকশ নেতাকমীর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা হয়।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর বিএনপির শতাধিক নেতার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দিয়ে এই নেতাকর্মীদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই নেতাকর্মীদের জামিন দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ এসব নেতাকর্মীর জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করেন। সেই আপিল আবেদন শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ নভেম্বর দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোট ১১টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দায়ী করে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি মামলা হয়। এসব মামলার আসামি বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী।
Advertisement
গত ১৬ নভেম্বর বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল জানান, ১৪টি মামলায় বিএনপির ১৪০ জন নেতাকর্মী হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় পৃথক জামিন আবেদনগুলো হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চান। ওইদিন শতাধিক নেতাকর্মী আগাম জামিন পেয়েছিলেন।
আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, সালাউদ্দিন দোলন, রুহুল কুদ্দুস, মজিবুর রহমান ও কাজী মো. জয়নাল আবেদিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান।
এফএইচ/এমএসএইচ/পিআর