পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তিতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পেয়েছেন তিন শতাধিক গরিব ও দুস্থ মানুষ। গুইমারা রিজিয়নের ব্যাবস্থাপনায় এবং চট্টগ্রামের লায়ন্স আই হাসপাতালের সহযোগিতায় পাহাড়ের গরিব ও দুস্থ চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসায় চক্ষুশিবির আয়োজন করে ৩০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি মাটিরাঙ্গা জোন।
Advertisement
বুধবার (২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত চক্ষু শিবির উদ্বোধন করেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। পাহাড়ি বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সুদৃঢ় হয়েছে।’
চক্ষু শিবির উদ্বোধন শেষে অতিথিদের নিয়ে চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন এবং চিকিৎসা নিতে আসা রেগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান। এ সময় জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানোর পরামর্শ দেন তিনি।
Advertisement
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে দিনব্যাপী এ চক্ষু শিবিরে চট্টগ্রাম লায়ন্স আই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা প্রায় তিনশতাধিক পাহাড়ি বাঙালি চক্ষু রোগীদের নানা ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এ সময় রোগীদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চশমা প্রদান ছাড়াও আগত ব্যক্তিদের মাঝে দুই শতাধিক মাস্ক বিতরণ করা হয়। সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগে আশার আলো ছড়াচ্ছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা গরিব ও দুস্থ মানুষগুলোর মাঝে।
চক্ষু শিবির উদ্বোধনের সময় মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নওরোজ নিকোশিয়ার, মাটিরাঙ্গার নবাগত জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোহসীন হাসান, গুইমারা রিজিয়নের জিটুআই মেজর মঈনুল আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজ তৃলা দেব, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক ও মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরন জয় ত্রিপুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবুর রহমান ভূইয়া/এমআরআর/জেআইএম
Advertisement