আত্মহত্যা করতে কোমর বেঁধে নামাবল্টু আত্মহত্যা করতে গিয়ে অনেকবার ব্যর্থ হয়েছে। এবার সে ঠিক করল একদম কোমর বেঁধে নামবে। বাজারে গিয়ে এক বোতল বিষ, এক টিন কেরোসিন, একটা পিস্তল, একটা দড়ি এবং একটা ম্যাচ কিনল।
Advertisement
এসব কিনে সে চিন্তা করল বিষ খাবে, গায়ে আগুন ধরাবে, দড়িতে ঝুলবে, আবার পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করবে। সে অনুযায়ী নির্জন এক পুকুর পাড়ে গেল। প্রথমে গাছে উঠল। গলায় দড়িটা বেঁধে গায়ে কেরোসিন দিলো। তারপর বিষটা খেয়েই গায়ে আগুন দিলো।
এরপর হাতে পিস্তল নিয়ে গাছ থেকে ঝুলে পড়ল। দড়িতে ঝুলতে ঝুলতে পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করতে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলো। দড়িতে গুলি লেগে দড়ি কেটে গেল। সে গিয়ে পড়ল পানিতে। আগুন গেল নিভে। অতিরিক্ত পানি খেয়ে বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে গেল।
****
Advertisement
মৃত্যুপথযাত্রীকে সাহস দেওয়ার চেষ্টাএক বৃদ্ধ মৃত্যুশয্যায়। চিকিৎসক বলেছেন, খুব বেশি হলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মারা যাবেন তিনি। তার আত্মীয়-স্বজন সবাই ভিড় করেছে তার বিছানার পাশে। তাকে সাহস দেওয়ার চেষ্টা করছে-নাতি: দাদু, তোমার মুখটা খুব উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।ছেলে: বাবা, তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস তো একদম নরমাল।পুত্রবধূ: শরীরের তাপমাত্রাও তো বেশ স্বাভাবিক।বৃদ্ধ: শুনে ভালো লাগছে যে, সুস্থ অবস্থায় আমি মরতে যাচ্ছি।
****
বাবুর্চি ও আলোকচিত্রীর স্নায়ুযুদ্ধএকজন বিখ্যাত বাবুর্চির বাসায় দাওয়াতে এসেছেন তার বেশ কিছু বন্ধু-বান্ধব। যাদের মধ্যে একজন আলোকচিত্রীও আছেন। অতিথি আপ্যায়নের ফাঁকে বাবুর্চির দেখা হয়ে গেল তার আলোকচিত্রী বন্ধুর সঙ্গে-বাবুর্চি: আরে, বন্ধু! কতদিন পর দেখা হলো তোমার সঙ্গে! তোমার তোলা ছবি আমি দেখেছি। সব ক’টি ছবিই চমৎকার। তোমার ক্যামেরাটা নিশ্চয়ই খুব ভালো আর দামি?
উত্তরে কিছুই বললেন না আলোকচিত্রী। তবে বিদায়ের সময় আলোকচিত্রী বলছেন-আলোকচিত্রী: বাহ! দারুণ খাওয়া-দাওয়া হলো বন্ধু! রান্না বেশ ভালো ছিল! তোমার চুলাটা নিশ্চয়ই খুবই ভালো আর দামি!
Advertisement
এসইউ/পিআর