কক্সবাজার জেলায় চলতি বছরের নয় মাসে ৯১২টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নারী সহায়তা কেন্দ্র থেকে সহায়তা চেয়েছে ২৫৩ জন। মঙ্গলবার কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, কক্সবাজার।সংগঠনটি ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, নারী সহায়তা কেন্দ্র ও আইন সহায়তা কেন্দ্রগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করে এ পরিসংখ্যান দিয়েছে। নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, কক্সবাজারের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, নারী সহায়তা কেন্দ্র ও সরকারি আইন সহায়তা কেন্দ্রগুলোর প্রাপ্ত তথ্য থেকে এ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।নারী নির্যাতনের হার বিদ্যমান পরিসংখ্যান থেকে অনেক বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, যৌন নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চাইতে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন না। ফলে প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। প্রশাসনের গাফিলতি ও প্রভাবশালীদের কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে যায় বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ওঠে।‘ঘরে-বাইরে সর্বত্র নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। প্রভাবশালীদের দাপট ও প্রশাসনের গাফেলতির কারণে অভিযুক্ত পার পেয়ে যায়। অনেক সময় লোকলজ্জার ভয়েও ভুক্তভোগী নারী নির্যাতনের বিষয়টি গোপন করে রাখেন।’ নারী নির্যাতনের যে হার তার মাত্র ১০ শতাংশ প্রকাশ পায় বলে জানান একাধিক বক্তা।নেটওয়ার্কটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, যৌন হয়রানির প্রতিকার ও প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, কক্সবাজার গঠিত হয়েছে।গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজারে নারী নির্যাতনের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও প্রতিকার বিধান করার জন্য এ নেটওয়ার্ক কাজ করবে ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরো কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখা, নারীর উপর সহিংসতার ঘটনায় দ্রুত মামলা গ্রহণ এবং এ ধরনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির করার জন্য পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।এছাড়াও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পাড়া-মহলায় সকল সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে কমিটি গঠন, নারীর উপর নির্যাতন নিরুৎসাহকরণে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের সচেতনামূলক প্রচারণা চালানোর উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ফজলুল কাদের চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেটওয়াকের্র যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, রাসেল চৌধুরী, শফিউলাহ শফি, মমতাজ উদ্দিন বাহারী, দীপক শর্মা দীপু, ইমাম খাইর, কাউন্সিলর মনজুমুন নাহার, সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টু, জসিমউদ্দিন সিদ্দিকি, শাহেনা আক্তার পাখি, নুরুল আজিম, ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।সায়ীদ আলমগীর/বিএ
Advertisement