অসুস্থ ব্যক্তির জন্য সেবাই সর্বোত্তম কাজ। সেবাদানকারী ব্যক্তিই অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া করবেন। অসুস্থ ব্যক্তির সুস্থতায় সেবাকারীর ব্যক্তির দোয়ার বিকল্প নেই। অসুস্থ ব্যক্তির সেবায় বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী করতেন? রোগীর সেবা করার নিয়ম কি আমরা জানি? হাদিসের বর্ণনায় তা ফুটে ওঠেছে-
Advertisement
‘হজরত আয়েশা বিনতে সাদ তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! সাদকে আরোগ্য করে দাও।’
অসুস্থ ব্যক্তির সেবায় করণীয়
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া করার আগে তাঁর সেবা করা জরুরি। আর সেবাদানকারী ব্যক্তির সেবা করার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনায় নাম উল্লেখ করে বেশি বেশি দোয়া করা। হাদিসের বর্ণনায় আরও ওঠে এসেছে-
Advertisement
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিয়ম ছিল, তিনি যখন কোনো রোগীর কাছে আসতেন কিংবা তাঁর কাছে যখন কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে আনা হতো; তখন তিনি বলতেন-
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : ‘আজহাবিল বাসা রাব্বাননাসি, ইশফি ওয়া আংতাশ শাফি লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা শিফাআন লা ইয়ুগাদিরু সাক্বামা।’
অর্থ : ‘কষ্ট দূর করে দাও, হে মানুষের রব! আরোগ্য দান কর, তুমিই একমাত্র আরোগ্যদানকারী। তোমার সুস্থতা ছাড়া অন্য কোনো সুস্থতা নেই। এমন সুস্থতা দান কর তা যেন সামান্যতম রোগকেও অবশিষ্ট না রাখে।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
Advertisement
মনে রাখতে হবে
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য ওষুধ ও দোয়া ছাড়া সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হলো তার যত্ন নেয়া। অসুস্থ ব্যক্তির সেবা-শুশ্রুষা করার পাশাপাশি ওষুধ এবং তাঁর নাম উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। এটিই বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দোয়া করার নিয়ম।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, অসুস্থ ব্যক্তির সর্বোচ্চ সেবা করা। অসুস্থ ব্যক্তির এ সেবাকে আল্লাহর ইবাদতে পরিণত করা। অসুস্থ ব্যক্তির জন্য নাম উল্লেখ করে বেশি বেশি দোয়া করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের নির্দেশনা অনুসারে অসুস্থ ব্যক্তির সেবা ও দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম