আন্তর্জাতিক

করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ‘অসুস্থ’ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে এক স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপিরও বেশি মানহানির মামলা করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (সিআইআই)।

Advertisement

রোববার (২৯ নভেম্বর) ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর ট্রায়ালে অংশ নেয়া চেন্নাইয়ের ওই স্বেচ্ছাসেবকের অভিযোগ পুরোপুরি ‘বিদ্বেষমূলক’। ‘ভুল ধারণার বশবর্তী’ হয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ৪০ বছর বয়সী ওই স্বেচ্ছাসেবক অভিযোগ করেছিলেন, গত ১ অক্টোবর চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ‘কোভিশিল্ড’ ডোজ নেয়ার পর থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন ওই টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছিল।

তবে, ওই স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অবস্থার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে সিআইআই বলছে, ওই ব্যক্তি টিকা নিয়ে অসুস্থ হননি।

Advertisement

‘চেন্নাইয়ের ওই স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অবস্থার সঙ্গে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।’

তবে পেশায় বিজনেস কনসালটেন্ট ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেয়ার পর ২৬ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এরপর থেকেই তার গুরুতর স্নায়ুবিক সমস্যা শুরু হয়। প্রচণ্ড মাথাব্যথা, আলো-শব্দের প্রভাবে বিরক্তিসহ দেখা দেয় নানা সমস্যা।

এমনকি, কাউকে চিনতে বা কথাও বলতে পারছিলেন না বলে দাবি করেন ওই স্বেচ্ছাসেবক।

এসব অভিযোগ তুলে ২১ নভেম্বর সিআইআইসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন তিনি।

Advertisement

ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই), সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল, অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও, চেন্নাইয়ের ওই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠান তার আইনজীবী।

আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি অবিলম্বে ‘কোভিশিল্ডে’র ট্রায়াল, উৎপাদন বন্ধ করারও দাবি জানান ওই স্বেচ্ছাসেবক।

তবে এসব দাবি নাকচ করে সিরাম ইনস্টিটিউট বলছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগ বিদ্বেষপূর্ণ। কারণ, ট্রায়ালের আগেই তাকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছিল যেসব শারীরিক সমস্যায় তিনি ভুগছেন তার সঙ্গে ভ্যাকসিন নেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি জেনেও ট্রায়ালে অংশ নেন তিনি। এরপর তিনি প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছেন।

এসএস/জেআইএম