জাতীয়

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার আহ্বান

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল একযোগে মিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে। করোনার প্রথম পর্যায়ে দেশের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর মধ্য থেকে অন্তত ৭০টি হাসপাতাল করোনা নিয়ে কোনো না কোনোভাবে কাজ করেছে। এদের মধ্যে ১৫টি হাসপাতাল ছিল কোভিড ডেডিকেটেড। এদের মাধ্যমে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান অব্যাহত ছিল।’

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার এই দুঃসময়ে এই প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোভিড রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং লক্ষাধিক করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো এই দুঃসময়ে দেশের মানুষের কাজে লেগেছে। দেশের প্রাইভেট হাসপাতালগুলো যেভাবে সরকারের সঙ্গে থেকে করোনার প্রথম পর্যায়ে কাজ করে গেছে দ্বিতীয় পর্যায়েও ঠিক সেভাবেই কাজ করবে।’

রোববার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও ভ্যাকসিন বিষয়ে আলোচনা সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান করোনার প্রথম পর্যায় ও দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর বিষয়ে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। করোনার প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকে প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কীভাবে কাজ করে গেছে সে প্রসঙ্গেও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

Advertisement

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আলী নূর ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দেশের ৭টি বিভাগীয় শহর থেকে আসা প্রাইভেট মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ সভায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

এওয়াইএইচ/এফআর/পিআর