একদিনে দুই লাখের বেশি মানুষের কোভিড-১৯ সংক্রমিত মানুষ শনাক্ত হওয়ার পর শনিবার মহামারি করোনাভাইরাসে দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড ভেঙেছে ভাইরাসটির প্রকোপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
Advertisement
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ২৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ২৮২।
আক্রান্তের সঙ্গে মৃত্যুও বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির করোনা সেন্টার জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫৮ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহে আরও ৬০ হাজার মৃত্যুর শঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন সংক্রমণ বড় শহরগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন ক্রমে গ্রামীণ এলাকা এবং দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তার ছড়াচ্ছে করোনা। ফলে আক্রান্তের সংখ্যাও ফের বাড়তে শুরু করেছে।
Advertisement
এদিকে উৎসবের মৌসুমের মধ্যে আগামী তিন সপ্তাহে আরও ৬০ হাজার আমেরিকান করোনায় প্রাণ হারাবেন বলে এক পূর্বাভাস দিয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি।
গত শুক্রবার থ্যাংকসগিভিংডের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উৎসব ও ছুটির মৌসুম শুরু হয়েছে। মানুষ ব্যাপক হারে কেনাকাটা করছেন। ফলে ভাইরাসটির সংক্রমণের বিস্তার আরও দ্রুত ছড়াতে পারে বলেই শঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড আক্রান্তের সঙ্গে হাসপাতালে রোগী ভর্তিতেও রেকর্ড হয়েছে। রেকর্ড সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে অর্ধেকের বেশি রাজ্যে। সাউথ ডাকোটা, নেব্রাস্কা, কানসাস, উইসকনসিনে পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ হচেছ।
হাসপাতালে শয্যাসংকট দেখা দেয়ায় ছোট শহর ও গ্রামীণ এলাকার পরিস্থিতি সবচেয়ে শোচনীয়। দেশটির বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন যে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই কয়েক মাস খুব সতর্ক থাকতে হবে।
Advertisement
এর পরও বেশিরভাগ রাজ্যের মানুষের বেপরোয়া আচরণ ও বিধিনিষেধ নিয়ে অনীহার কারণে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের বদলে তার আরও বিপর্যয় ঘটবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে জমায়েত করছেন। আমেরিকার সংক্রমণ বাড়ার পেছনে এটা অন্যতম প্রধান কারণ বলেই মত বিশেজ্ঞদের।
বড়দিন ছাড়া উৎসবের মৌসুমে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখেই জানসাধারণকে বাড়িতেই উৎসব পালনের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি।
এসএ/পিআর