করোনাভাইরাস সৃষ্ট মহামারি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে এই মহামারিতে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৫৪৪ জনে।
Advertisement
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৯২২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৬হাজার ৩৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ লাখ ২৯ হাজার ৫৮০টি।
এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ২৭৩ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭১১ জনে।
Advertisement
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১৩ দশমিক শূন্য ৮৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ৪৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৬ হাজার ৫৪৪ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ২৪ জন (৭৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ৫২০ জন (২৩ দশমিক শূন্য ২৩ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৭ জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১০ জন রয়েছেন।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০ জনের মধ্যে বিভাগীয় পরিসংখ্যানে দেখা যায়- ঢাকায় ১০ জন, চট্টগ্রামে তিনজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় দুইজন, বরিশালে তিনজন এবং রংপুর বিভাগের একজন রয়েছেন।
এমইউ/এসএস/জেআইএম