অর্থনীতি

জিএসপি ফিরে পাবার আশা বাণিজ্যমন্ত্রীর

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ২৩ নভেম্বর টিকফার মিটিংয়ের পর  স্থগিতকৃত জিএসপি ফিরে পাবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে  ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের নেতৃত্বে  চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।তোফায়েল বলেন, দেশের তৈরি পোশাক খাতের শিল্প কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক মানের ও নিরাপদ। শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের অধিকার, কাজের পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশে এখন শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক ও কাজের পরিবেশ চমৎকার। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ অনেক রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছেন। সকলেই কারখানার নিরাপদ পরিবেশ, শ্রমিকদের অধিকার ও সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, জিএসপি ফিরে পেতে আর কোন বাধা থাকার কারণ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি বেড়েই চলেছে। গত চার মাসের রফতানি বৃদ্ধি হয়েছে ১৭ ভাগ।  ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানি করা হয়েছে ৫৭৮৩.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের, একই সময়ে আমদানি করেছে ৭৬১.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। ৫০২২.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর  হয়েছে। টিকফার আসন্ন মিটিং-এ স্থগিতকৃত জিএসপি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হবে।  আশা করা হচ্ছে, জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে  যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো আপত্তি থাকবে না।টিকফার মিটিংয়ে দেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে, পররাষ্ট্র ও শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিবসহ মোট পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল  অংশ নেবে।তোফায়েল আহমেদ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় এলডিসিভুক্ত দেশসমূহের ট্রিপস চুক্তির মেয়াদ সতের বছর বৃদ্ধির বিষয়ে  সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের চলমান বাণিজ্য সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পারে। যুক্তরাষ্ট্রের টিপিপি স্বাক্ষরের ফলে দেশের রফতানি বাণিজ্যের কোনো ক্ষতি হবে না। বারোটি দেশের মধ্যে বেশিরভাগ দেশের কাছ থেকে বাংলাদেশ ডিউটি ফ্রি সুবিধা পেয়ে আসছে। বাংলাদেশের সঙ্গেও  টিপিপি স্বাক্ষরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হবে।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (মহাপিরিচালক, ডব্লিউটিও সেল) অমিতাভ চক্রবর্তী, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) জহিরউদ্দিন আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এসএ/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি

Advertisement