‘বিশ্বকে অকস্মাৎ স্তব্ধ করে দেয়া করোনা প্রতিরোধে প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চলছে। চলছে টিকার তোড়জোড়ও। তবে টিকা আসতে আরও অনেক দেরি। তাই এ মুহূর্তে করোনা মোকাবিলায় নিজেদের আরও বেশি সচেতন হবে। ধরে নিতে হবে মাস্কই আসল টিকা। সবসময় হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে জনসমাগম। এই তিনটি শর্ত পূরণ করলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও আক্রান্তের ভয়াবহতা কমবে।’
Advertisement
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কক্সবাজার শহরে নতুন করে ৫০ শয্যার কোভিড-১৯ ‘সারি’ আইসোলেশন সেন্টার ও চিকিৎসাকেন্দ্র উদ্বোধনকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন। পৌরসভার কবিতা চত্বর রোডের বাহারছড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক বছরের জন্য এই ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ‘সারি’ আইসোলেশন সেন্টার ও চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, করোনার শুরু থেকে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ একটি টিম জীবনের মোহ ভুলে কাজ করছে। আর লকডাউন দেয়া হবে না। শীতে করোনা সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় কক্সবাজারবাসীর জন্য নতুন এ সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এতে সকল সুযোগ-সুবিধা আছে। এখন করোনা হলে আর ভয় নেই। কারণ ইতোমধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসাব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি করা হয়েছে। আস্থার সাথে চিকিৎসা-সুবিধা ভোগ করছে জেলাবাসী।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনীতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরমেয়র মুজিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি ম্যানুয়েল মার্কেস পেরেরা।
Advertisement
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শ্রাবস্তী রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল চৌধুরী টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ও জেলা জাতীয় পার্টি নেতা মেহেরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, মার্চের শেষের দিকে শুরু হওয়া করোনার প্রথম ধাপ মোকাবিলায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, রামু উপজেলা ডেডিকেটেড আইসোলেশন সেন্টার, চকরিয়া আইসোলেশন সেন্টার, উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতাল, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ আইসোলেশন চিকিৎসাকেন্দ্রসহ জেলায় বিশেষ ব্যবস্থায় করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র চালু করেছে সরকার। ইউএনএইচসিআর ও আইএমওসহ আন্তর্জাতিক নানা সংস্থার অর্থায়নে জেলা প্রশাসন এসব কোভিড-১৯ চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন ও সেবাকার্যক্রম চালু রেখেছে। বৃহস্পতিবারও আইএমও সহযোগিতায় বাহারছড়ার ‘সারি’ আইসোলেশন সেন্টারটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/বিএ
Advertisement