দেশজুড়ে

চিকিৎসার অভাবে মারা গেলেন তাজরীন ফ্যাশন্সের আরেক শ্রমিক

সাভারের আশুলিয়ায় নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশন্সের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত শারমিন আক্তার মারা গেছেন।

Advertisement

দুর্ঘটনার পর থেকে চিকিৎসার অভাবে অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর টানপাড়া এলাকায় নানার বাড়িতে মারা যান শারমিন।

শারমিন তাজরীন ফ্যাশন্সের চারতলায় সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। শারমিনের ১৩ ও আট বছরের দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। তার স্বামী আব্দুল করিম দিনমজুর। আশুলিয়ার ইয়ারপুর টানপাড়া এলাকায় নানা সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে থাকতেন তিনি।

নিহতের পরিবার জানায়, দীর্ঘ আট বছর ধরে চিকিৎসার অভাবে অসুস্থতায় ভুগছিলেন শারমিন আক্তার। বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

নিহতের সহকর্মী তাজরীন ফ্যাশন্সের শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শী নাছিমা আক্তার জানান, শারমিন ও আমি তাজরীনের চারতলায় একই ফ্লোরে কাজ করতাম। ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার পরপর ওই ফ্লোর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তখন শারমিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই অসুস্থ ছিল সে। বুধবার তার মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেইলার্স ওয়ার্কার্স লীগের সাভার-আশুলিয়া শাখার সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সোহাগ বলেন, তাজরীনের আহত শ্রমিক শারমিন আক্তার বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মারা গেছেন। তাজরীন ফ্যাশন্সের দুর্ঘটনার পর থেকে এই শ্রমিক অসুস্থ ছিলেন। কোনো চিকিৎসা পাননি। কারও সহযোগিতাও পাননি। খবর পেয়ে দেখতে এসেছি আমরা।

বিপ্লবী গার্মেন্ট-শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য আজ আমরা তাজরীনের আরও এক বোনকে হারালাম। সুচিকিৎসা ও আর্থিক সঙ্কটের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। কেন এই শ্রমিক বিনা চিকিৎসায় মারা গেল? কারখানা মালিক ও বিজিএমইএ’র কাছে এর জবাব চাই। ধিক্কার জানাই এরকম মালিক ও বিজিএমইএ’র প্রতি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আল-মামুন/এএম/এমএস

Advertisement