সাহেদের প্রথম একক অ্যালবাম `প্রভু` ১৯৯১ সালে সারগাম থেকে প্রকাশ হয়। এ অ্যালবামের `সন্ধ্যাবেলায় খোলা চুলে থেকো না` গানটি নিজের চতুর্থ এককেও রাখেন তিনি। ১৯৯৬ সালে সংগীতা বাজারে আনে তার দ্বিতীয় অ্যালবাম `চিলেকোঠা`। ২০০১ সালে একতার থেকে আসে সাহেদের তৃতীয় একক `গান নেবেন গান`। এ অ্যালবামের `রোকজানা` গান দিয়েই মূলত আলোচিত হয়ে ওঠেন সাহেদ। ২০০৮ সালে প্রকাশ হয় তার চতুর্থ একক `ক্লাসরুমে বসে শেখা`। ১০.১১.১২ তে প্রকাশ হয় তার শেষ একক অ্যালবাম ‘উটপাখির ডিম’। এরপরই ২০১৫ সালের ৬ই জুন প্রকাশ হয় তার গাছ ব্যান্ডের প্রথম ব্যান্ডের অ্যালবাম `গাছের কাণ্ড` বর্তমানে তিনি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তার নতুন অ্যালবাম মালেকা-রোকযানার কাজ নিয়ে। সম্প্রতি এক আড্ডায় তিনি বললেন তার না বলা অনেক কথা। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মশিউর রহমান শান্ত ।সাহেদের সকাল-বিকাল :আসলে আমার প্রতিটি সকালই আলাদা এবং প্রতিটি বিকেলই আলাদা। যেহেতু আমি ধরা-বাঁধা কোনো কাজ করি না। তাই প্রতিটিদিন আমার জন্য নতুন কিছু নিয়ে আসে। নতুন করে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, নতুন করে আড্ডা দেওয়া, নতুন কিছু নিয়ে ভাবনা এইসব নিয়েই আমার দিন কাটে।পছন্দের পোশাক :আমার যে কোনো এক রঙা কাপড় এবং চেক শার্ট আর জিন্স পরতেই বেশি ভালো লাগে। একটা সময় তো সাদা শার্ট পরেই বেশি কনসার্ট করা হতো। বাউন্ডুলে জীবনের কারণে কাপড় ধোয়ার বিষয়টা সব সময় সম্ভব হতো না। তাই কনসার্টে নতুন সাদা শার্ট পরেই উঠতাম।প্রিয় কাজ :সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে গান করতে। তাই প্রিয় কাজের কথা বলা হলে বলব গান গাইতে, গান শুনতে এবং গান নিয়ে থাকতেই ভালো লাগে। এছাড়া আড্ডা দিতে, ঘুরে বেড়াতেও আমার মন্দ লাগেনা।প্রিয় খাবার :প্রিয় খাবার আসলে পুরোটাই নির্ভর করে সময়ের উপর। একটা সময় মসুর ডাল ভালো লাগত না কিন্তু এখন ভালো লাগে। একটা সময় শিং মাছ ভালো লাগত কিন্তু এখন লাগেনা। ঠিক এমন ভাবে আমার প্রিয় খাবারের তালিকা প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। তাই আলাদা করে প্রিয় খাবারের নাম বলাটা সত্যি কঠিন।ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :গান করে যেতে চাই। যদি আজ আমার একটা অ্যালবামও বের না হত তবুও আমি এই সিদ্ধান্তই নিতাম। কেউ আমার গান শুনলেও আমি গান করে যাবো, না শুনলেও আমি গান করে যাবো। আর এটাই হচ্ছে আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।এইচএন/আরআইপি
Advertisement