২০১৭-২০১৮ সালের শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬২৪ জন। মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল বিজয়ী হওয়ার পর এ তালিকা থেকে ১৮৪ জন ভোটারের ভোটাধিকার বাতিল করে সহযোগী সদস্য করা হয়েছে। যার ফলে তারা ভোটাধিকার হারিয়েছেন।
Advertisement
নতুন করে ২০ জন শিল্পীকে ভোটার করা হয়। এর জেরে দীর্ঘদিন ধরেই মিশা-জায়েদ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন করে আসছেন ভুক্তভোগী শিল্পীরা। তারা শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মিশা সওদাগর এবং জায়েদ খানের পদত্যাগ চাইছেন।
আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) মিশা-জায়েদের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী অধিকার রক্ষা ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন সাদিয়া মির্জা, বেবি, পারভীন, ডেঞ্জার নাসিম, লিটনসহ বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র শিল্পী। তাদের বেশিরভাগই শিল্পী সমিতির সদস্যপদ হারানো সদস্য।
মানববন্ধনে চলচ্চিত্র শিল্পীরা বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে অবিলম্বে বিতর্কিত মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যায়ভাবে আমাদের সদস্যপদ বাতিল করেছে এ কমিটি। অবিলম্বে আমাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তা নাহলে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’
Advertisement
অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা বলেন, ‘আমার ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এরকম আরও অনেকের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই আমাদের সদস্যপদ বাতিল করেছে।’
এর আগেও ১৯ জুলাই মিশা-জায়েদের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি।
এওয়াই/এলএ/এমএস
Advertisement