জাতীয়

মিলিটারি সদস্যের ওপর হামলাকারী ধরা পড়েছে

পুলিশের তল্লাশি চৌকি বৃদ্ধি ও পুলিশ সদস্যদের সতর্কতার কারণেই মিলিটারি পুলিশ সদস্যের উপর হামলাকারীকে ধরা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে পুলিশের গাড়ি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, দেশে একটা চিহ্নিত গোষ্ঠীর বিচার কাজ চলছে, মূলত তাদের অনুসারীরাই এ ধরণের হামলা চালাচ্ছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।আছাদুজ্জামান বলেন, যু্দ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালকারীদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কারা এর অর্থদাতা, কারা মদদ দাতা তা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিছুদিন আগে গাবতলীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই সুমন নিহত হন। একইভাবে আশুলিয়ায় পুলিশের ওপর হামলায় শিল্প পুলিশের এসআই মুকুল নিহত হন। মঙ্গলবার সকালেও একই কায়দায় কাফরুল থানাধীন কচুক্ষেত এলাকায় মিলিটারি পুলিশ সদস্য সামিদুলকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এই হামলার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে এটির যথেষ্ট কারণ আছে। পুলিশ মনে করছে, একটি চিহ্নিত গোষ্ঠি এই হামলা করছে।  যারা নিকট অতীতে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, আন্দোলনের নামে যারা জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, নির্বিচারে হত্যা করেছে, তারাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করছে। এর মাধ্যমে একটা নৈরাজ্যকর, একটি ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের চেকপোষ্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। তল্লাশি চৌকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোবাইল পেট্টোল, মোটরবাইক পেট্টোল টিম শক্তিশালী করা হয়েছে। যেসব সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর এই ধরণের হামলা করে পুলিশের মনোবলকে ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি নৈরাজ্যকর অস্থিতিশীল করার প্রয়াস চালাচ্ছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ যদি পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে আঘাত করতে চায়, সেটা শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে পুলিশের এলার্ট অনেকাংশে অপরাধীকে ধরতে সহযোগিতা করে। এর আগে ডিএমপির সকল উপ-কমিশনারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।জেইউ/এসকেডি/পিআর

Advertisement