চলছে করোনা মহামারিকাল। দেখা দিচ্ছে নানামুখী সংকট। বিশেষ করে চাকরির বাজারে বইছে মন্দাবস্থা। যেখানে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা প্রয়োজন সেখানে লোকজন চাকরি হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় চাকরির প্রবাহ ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। মনে রাখতে হবে বেকারত্বের হাহাকার দূর করতে না পারলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
Advertisement
প্রতিবছর যে হারে শিক্ষিত চাকরি প্রার্থী তৈরি হচ্ছে সে হারে চাকরির ক্ষেত্র ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমন্বয় থাকতে হবে। নইলে এক পাহাড়সম সমস্যা তৈরি হবে। আদতে হয়েছেও তাই। চাকরি প্রার্থীর তুলনায় সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে চাকরির সংখ্যা খুবই কম। যা রয়েছে সেগুলোতেও যদি নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু রাখা না হয় এরচেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে।
সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে একদিকে পাহাড়সম বেকারত্ব বাড়ছে অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে হাজার হাজার শূন্য পদ থেকে যাচ্ছে। এগুলোতে নিয়োগের যেন কোনো তাগিদ নেই। এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় দিনের পর দিন বন্ধ থাকছে শূন্যপদে নিয়োগ। এতে বেকারত্বের দীর্ঘশ্বাসে ভারী হচ্ছে আকাশ-বাতাস। সময়মত চাকরি-বাকরি না পেয়ে অনেকেই গ্লানিময় জীবন যাপন করছে যা কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে কোটি কোটি হাত বসিয়ে রেখে সেটা সম্ভব নয়।
যেখানে দিন দিন বেকারত্ব বাড়ছে সেখানে অনেক পদ দীর্ঘদিন খালি থাকা সে অনুযায়ী নিয়োগ না দেয়া রীতিমত অন্যায়। যে কোনো ক্ষেত্রে শূন্যপদের নিয়োগ দ্রুততর করতে হবে। এতে একদিকে কর্মসংস্থান হবে বেকারদের অন্যদিকে শূন্য পদ থাকার কারণে কাজের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটিরও সমাধান হবে। ঠিক থাকবে চাকরির প্রবাহও। এ ব্যাপারে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে-এমনটিই দেখতে চায় মানুষজন।
Advertisement
এইচআর/পিআর